মানচিনির ইতালি ছুটছেই। টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত তারা। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে লিওনার্দো বনুচ্চিরা। তবে গতকালের ম্যাচে ইতালিকে বেশ নাজেহাল করেছে ডেভিড আলাবাদের দল। ইউরোতে প্রথম প্রি কোয়ার্টারের সুযোগ পাওয়া অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ইতালি কোনো গোল করতে পারেনি। খেলা পৌঁছায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে ফ্রেডরিকো চিয়েসা ও মাত্তেও পেসেইনার গোলে জয় পায় আজ্জুরিরা। অস্ট্রিয়া একটি গোল করেও হার বাঁচাতে পারেনি। তবে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষেই রেকর্ড ১১৬৮ মিনিট পর গোল হজম করলো রবার্টো মানচিনির ব্রিগেড।
গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচের তিনটিতেই জিতে এবং ক্লিন শিট বজায় রেখে শেষ ষোলতে পৌঁছে ছিলো ইতালি। ওয়েম্বলিতে প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়া ছিলো নক আউট পর্বের বড় চমক। ফুটবল বোদ্ধারা অনুমান করেছিলেন খুব সহজেই জয় উৎসবে মাতবে আজ্জুরিরা। কিন্তু তা হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে অস্ট্রিয়া কার্যত ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলো ইতালিকে। ডেভিড আলাবারা জানান দিয়েছে তারাও হতে পারে ইউরোপীয়ন ফুটবলের বড় শক্তি।
শুরুটা ইতালি আক্রমণাত্মক ভাবেই করেছিলো। প্রথমার্ধে বলের ওপর অধিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রতিপক্ষের ডি বক্সের সামনে বারংবার উঠে যাচ্ছিলো। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগও এসেছিলো। তবে অস্ট্রিয়ার গোলরক্ষক বাখমান ভালো কয়েকটি সেভ করে দলকে গোলের হাত থেকে বাঁচান। সিরো ইমোবিলের ভলি থেকে বল পোস্টে না লাগলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারতো চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা একটু অন্যরকম। প্রথমার্ধের ইতালিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এবার মাঠে রাজত্ব শুরু করে অস্ট্রিয়া। গোলও এসে যায় আলাবাদের। মার্ক আরনুটভিচ দারুণ এক হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন। কিন্তু ভিএআর অফসাইডের সংকেত দিলে তা বাতিল করা হয়। নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর খেলা পৌঁছায় অতিরিক্ত সময়ে।
এদিন ম্যাচের ৬৭ মিনিটে নিকোলো বারেল্লার বদলি হিসেবে নামেন মাত্তেও পেসেইনা এবং ৮৪ মিনিটে ডমিনিকো বেরার্ডির বদলি হিসেবে নামেন ফ্রেডরিকো চিয়েসা। বদলি হিসেবে নেমে এই দুজনই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন। অতিরিক্ত সময়ে ৯৫ মিনিটের মাথায় লিওনার্দো স্পাইনাজোলার বাড়ানো পাসে গোল করে ইতালিকে এগিয়ে দেন জুভেন্তাস তারকা ফ্রেডরিকো চিয়েসা। ১০৫ মিনিটে পেসেইনা করেন দ্বিতীয় গোল। ১১৪ মিনিটে সাসা কালাজিক একটি গোল করে অস্ট্রিয়ার ব্যবধান কমালেও শেষ পর্যন্ত ২-১ লীড বজায় রাখতে সক্ষম হয় মানচিনি এন্ড কোং।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন