ভারতে ২০২২ সালে প্রায় ১১ লক্ষ শিশু হামের টিকা নেওয়া থেকে বঞ্চিত থেকেছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও মার্কিন আমেরিকার সংস্থা সেন্ট্রাল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC)-এর তরফে প্রকাশিত একটি বিশ্বব্যাপী টিকাদান সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে। হাম প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এই টিকাকরণ খুবই প্রয়োজনীয় বলে মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর হামের টিকা না পাওয়া দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত।
হাম একটি অত্যন্ত সংক্রামক ব্যাধি। টিকাকরণের মাধ্যমে মানুষের দেহে হামের সংক্রমণ রুখে দেওয়া যেতে পারে। এই রোগ ছড়িয়ে পড়া পুরোপুরিভাবে রুখে দেওয়ার জন্য জনসংখ্যার উচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রয়োজন আর সেজন্য নিয়মিত হামের টিকা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি হামের টিকাকরণ নিয়ে মোট ১৯৪টি দেশের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে হু এবং সিডিসি।
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট হাম সংক্রমণের প্রায় ৫৫ শতাংশের জন্য দায়ী নির্দিষ্ট ১০টি দেশ। এই দশটি দেশেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশু মিসেলস কনটেইনিং ভ্যাকসিন (MCV) MCV1 টিকা নেয়নি। এই তালিকার ৪ নম্বরে যুগ্মভাবে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। গত বছর নাইজেরিয়াতে প্রায় ৩০ লক্ষ শিশু হামের টিকা পায়নি। তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়া। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ১৮ লক্ষ শিশু সে দেশে গত বছর হামের টিকা পায়নি। ১৭ লক্ষ শিশুর টিকাকরণ না করিয়ে তালিকার ৩ নম্বরে রয়েছে ইথিওপিয়া। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশেরই ১১ লক্ষ শিশু ২০২২ সালে হামের টিকা পায়নি।
ওই তালিকায় বাকি দেশগুলি হল অ্যাঙ্গোলা (৮ লক্ষ), ফিলিপিন্স (৮ লক্ষ), ইন্দোনেশিয়া (৭ লক্ষ), ব্রাজিল (৫ লক্ষ) এবং মাদাগাস্কার (৫ লক্ষ)। গতবছর বিশ্বব্যাপী মোট ৩.৩ কোটি শিশু হামের টিকা পায়নি, যার মধ্যে ২.২ কোটি শিশু তাদের প্রথমবারের টিকাই পায়নি। রিপোর্ট আরও জানিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্ব জুড়ে যে ৩৭টি দেশে ভয়াবহ হাম সংক্রমণ দেখা গিয়েছে, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারতে গত বছর মোট ৪০ হাজার ৯৬৭টি হাম সংক্রমণের ঘটনা দেখা গিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন