মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে একের পর এক রোগীর মৃত্যু হয়েই চলেছে। শেষ ৪৮ ঘন্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পর্যাপ্ত পরিমাণ কর্মী না থাকার কারণেই নাকি রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে।
মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো মহারাষ্ট্রের শঙ্করারাও চহ্বাণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ১২ জন শিশুও রয়েছে। এদের বেশিরভাগই ভর্তি হয়েছিলেন সাপের কামড়ের কারণে। ওই হাসপাতালের ডিন জানিয়েছেন, "৭০-৮০ কিলোমিটারের মধ্যে আমাদের হাসপাতালে মানুষ ভালো চিকিৎসা পায়। সেই কারণে বিগত কিছু দিনে অধিক সংখ্যায় রোগী ভর্তি হয়েছে। আর একই সময়ে হাসপাতালের বহু কর্মীর বদলি হয়েছে। কিছু কর্মী চলে গেছেন। ফলে চিকিৎসা করতে একটু সমস্যা হচ্ছে"।
তিনি আরও বলেন, 'হাফকাইন (Haffkine) নামের একটি প্রতিষ্ঠান আছে। আমাদের সেখান থেকে প্রচুর ওষুধ কেনার কথা ছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তার বদলে আমরা স্থানীয় দোকানগুলি থেকে ওষুধ কিনে পরিষেবা প্রদান করছি'।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, কর্মীর অভাবের পাশাপাশি একাধিক যন্ত্রাংশও বিকল হয়ে রয়েছে। হাসপাতালে ৫০০ রোগীর চিকিৎসা করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ভর্তি রয়েছে ১২০০ রোগী। অনেকের শরীরে ফসফরাস ও আর্সেনিকের পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে।
মহারাষ্ট্রের মেডিক্যাল এডুকেশন ডিরেক্টর চিকিৎসক দিলীপ মৈশেখর জানান, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই কমিটিকে।
গোটা ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি লেখেন, "মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই। চলতি বছরেই থানের একটি সরকারি হাসপাতালে ১৮ জন রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। বার বার এই ধরণের ঘটনা সরকারের দিকে প্রশ্ন তুলে দেয়। আমরা বিস্তারিত তদন্তের দাবি করছি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন