রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। কার্যত ডেঙ্গু মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে পুরসভাগুলিতে। এবার নাইসেডের রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রাজ্যে প্রতিবছর এই সময়টাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু চলতি বছরে রাজ্যজুড়ে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে চিন্তায় রয়েছে নবান্ন। কলকাতার ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য ফুলবাগান নাইসেডে পাঠানো হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুর নতুন প্রজাতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্লেটলেট না কমেও অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। জানা যাচ্ছে নতুন প্রজাতির নাম ডেন থ্রি। ৫০টি নমুনার মধ্যে ৩৫টি ডেন-থ্রি আক্রান্তের রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, সারা বিশ্বে মূলত আমাদের এই অঞ্চলের দিকে এই বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ প্রচুর বেড়েছে। সিঙ্গাপুরের মতো আধুনিক দেশে চলতি বছর ৩৭ হাজার জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। সেই তুলনায় কলকাতায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কম। ডেঙ্গুর চরিত্র প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। এই ধরণের প্রজাতি সাধারণত সিঙ্গাপুরে দেখা যায়। ডেঙ্গু চরিত্র পাল্টে করোনার সাথে বন্ধুত্ব করেছে। কারণ এখন প্লেটলেট না কমলেও আক্রান্তের শরীরে অক্সিজেন মাত্রা কম হয়ে যাচ্ছে। আর এই ডেন থ্রি আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি। চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গুতে সাক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৯৮ জন। রাজ্যের পুরসভাগুলির মধ্যে কলকাতা পুরসভাতে ডেঙ্গু সংক্রমণ সব থেকে বেশি। স্বাস্থ্য দপ্তর বৃহস্পতিবার ডেঙ্গুর যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে গত এক সপ্তাহে কলকাতা পুরসভাতে ২৬৩ জন এবং ব্যারাকপুর পুরসভায় ১২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে কলকাতার পাশাপাশি একাধিক জেলার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দেখেও চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর। জেলাগুলির মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা উত্তর ২৪ পরগনায় সবথেকে বেশি। উত্তর ২৪ পরগনায় শেষ এক সপ্তাহে ৬০০ জনেরও বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। জলপাইগুড়িতে ২০০ জনের বেশি এবং হাওড়াতে ৪০০-র অধিক ডেঙ্গু আক্রন্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন