বর্ষার মরশুম শুরু হতে না হতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো কলকাতায়। ইতিমধ্যেই শেষ ৪ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। যার মধ্যে এক নাবালিকাও আছে।
রাজ্যে ধীরে ধীরে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ২১ জুলাই রাতে কলকাতার বেলেঘাটার হাসপাতালে নদীয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা বছর ৪৫-র এক মহিলার মৃত্যু হয় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। পরিবার সূত্রে খবর, ঘন ঘন জ্বর আসায় তাঁকে প্রথমে রানাঘাটের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে কল্যাণী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর বেলেঘাটায় নিয়ে আসা হয়।
ওই একই দিনে ৩০ বছর বয়সী এক মহিলা ও ৬৬ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। দুজনেরই ডেথ সার্টিফিকেটেই ডেঙ্গুর বিষয় উল্লেখ ছিল। ৩০ বছর বয়সী মহিলার বাড়ি বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল লেকটাউনের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বৃদ্ধ ব্যক্তি নদীয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা। তাঁকে ১৯ জুলাই ফুলবাগানের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২১ জুলাই মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে কলকাতার পিকনিক গার্ডেনের বসিন্দা নাবালিকা পল্লবী দে-ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। জ্বর সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে। পরে পিকুতে স্থানান্তরিত করা হয়। গত শনিবার প্লেটলেট ১০ হাজারের নীচে নেমে যায় তার। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, বছর দশেকের পল্লবীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো মাল্টি অর্গ্যান ফেলিয়র।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিয়ে রাজ্যের পুরসভাগুলিকে বাড়তি সতর্ক হতে বলেছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকেও নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যাতে বলা হচ্ছে রক্তপাত সহ রোগীর প্লেটলেট যদি ১০ হাজারের নীচে নামে তাহলে প্লেটলেট দেওয়া যাবে। রক্তপাত ছাড়া প্লেটলেট যদি ১০-২০ হাজার থাকে সেক্ষেত্রে প্লেটলেটের প্রয়োজন নেই। কিন্তু রোগীর শারীরিক অবস্থা বিচার করে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন