কলকাতায় ফের ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলল। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন ফেরত এক যুবকের শরীরে ধরা পড়েছে সংক্রমণ। গত মঙ্গলবার কলকাতা পুরভোটের গণনার দিন আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। জিন পরীক্ষার পর শুক্রবার ওই ব্যক্তির শরীরে মিলল কোভিডের নয়া রূপ। এই নিয়ে পঞ্চম ওমিক্রন-আক্রান্তের হদিশ মিলল রাজ্যে।
সূত্রের খবর, ডাবলিন থেকে বিমানে ওঠার আগে কোভিড টেস্ট করিয়েছিলেন ওই যুবক। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর ডাবলিন থেকে ম্যানচেস্টার, আবুধাবি ও দিল্লি হয়ে ১৮ ডিসেম্বর কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। জানা গেছে, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো হাল্কা উপসর্গ তাঁর ছিলই। কলকাতায় ফেরার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে যুবককে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কোভিড ইউনিটে তাঁর চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুবকের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
রাজ্যে এই নিয়ে ওমিক্রন রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচ। নাইজেরিয়া ফেরত ৬৯ বছরের এক বৃদ্ধের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। অন্যদিকে লন্ডন ফেরত এক যুবক ওমিক্রন আক্রান্ত। দুজনেই কলকাতার বাসিন্দা। দুজনকেই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টে সংক্রমিত কিনা তা জানা যাবে একমাত্র জিনোম সিকুয়েন্স করলে। তাই রাজ্যে নতুন যাঁরা আসছেন বা আগে ভ্রমণের রেকর্ড আছে তাঁদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করিয়ে নমুনার জিনোম সিকুয়েন্স করা জরুরি। শুধুমাত্র আক্রান্ত ও তাঁর চারপাশের লোকজন নয়, আরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করানো জরুরি। কারণ উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে রাজ্যে। তাঁদের থেকে সংক্রমণ হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই কোভিড টেস্টের পাশাপাশি কনট্যাক্ট ট্রেসিংও জরুরি। আক্রান্তের সংস্পর্ষে কতজন এসেছেন তা চিহ্নিত করা যাবে কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমেই।
আগামী ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন থেকেই সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন