চলতি বর্ষার মরশুমে কলকাতা শহরে ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে কংজাংটিভাইটিস। শহরের প্রায় প্রতিটি ঘরেই শিশু থেকে শুরু করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বড়রাও। অসময়ে হঠাৎ করে এই রোগের এত বাড়াবাড়ির জন্য নতুন অ্যাডিনোভাইরাসকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিকভাবে শীতের মরশুমেই এই রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। প্রধানত শিশুরাই সবচেয়ে বেশি কাবু হয়। কিন্তু বর্তমানে বর্ষাকালেই হঠাৎ করে জেগে উঠেছে কংজাংটিভাইটিসের এই নয়া স্ট্রেইন। আর এবারে তার থেকে ছাড় পাচ্ছেন না বড়রাও।
চিকিৎসকেরা কংজাংটিভাইটিসের এই নতুন ঢেউকে যথেষ্ট শক্তিশালী ও ব্যাপক ছোঁয়াচে বলে অভিহিত করেছে। কারণ, এবার শুধুমাত্র শিশুরাই নয়, আক্রান্ত হচ্ছেন পূর্ণবয়স্করাও। পাশাপাশি এবারে আক্রান্তের হার সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই কংজাংটিভাইটিস অত্যন্ত ভাইরাল। বিভিন্নভাবে এই কংজাংটিভাইটিস ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে নোংরা থেকে ও ত্বকের সঙ্গে ত্বকের ছোঁয়া থেকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে কংজাংটিভাইটিসের এই নতুন অ্যাডিনোভাইরাসের স্ট্রেইন।
কিন্তু এর থেকে বাঁচার উপায় কী হতে পারে? কলকাতার ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড কেয়ারের পিডিয়াট্রিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রভাস প্রসূন গিরি জানিয়েছেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে অ্যাডিনোভাইরাসের দ্বারা প্রভাবিত কংজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রচুর ঘটনা সামনে আসছে। খুব সম্ভবত এটি অ্যাডিনোভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেইন। যেহেতু এটি প্রচণ্ডরকমের ছোঁয়াচে, তাই এর থেকে রক্ষা পেতে হলে বারবার হাত ধুতে হবে ও নিজেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বারবার করে অপরিচ্ছন্ন হাত চোখে দেওয়া যাবে না এবং আক্রান্ত মানুষের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ৫ থেকে ৬ দিনের জন্য আলাদা ঘরে রাখতে হবে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন