চোখরাঙাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস! রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে শিশুদের ভিড়, উদ্বেগ চিকিৎসক মহলে

চিকিৎসকদের মতে অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে বাঁচতে করোনা বিধির মতোই দূরত্ব বজার রাখতে হবে। কারণ সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের থেকে দূরে থাকা উচিত।
অ্যাডিনো ভাইরাস
অ্যাডিনো ভাইরাসগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

ক্রমশ চোখরাঙাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। রাজ্যের একের পর এক হাসপাতালগুলিতে শিশুদের লম্বা লাইন পড়ছে। এমনকি বেডের সংকট দেখা দিচ্ছে।

রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় শিশু ও বয়স্করা জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কারুর অবস্থা এতটাই খারাপ যে ভেন্টিলেশনের পর্যন্ত রাখতে হচ্ছে। চিকিৎসক সূত্রে খবর, ২০১৮-১৯ সালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল অনেকেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে। কারণ করোনার পরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমেছে।

তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, শুধু জ্বর নয়। জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট ও পেটের সমস্যাও থাকছে রোগীর শরীরে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও অনেক সময় কাজ হচ্ছে না। তবে রোগটি প্রতিরোধেরও উপায় আছে।

চিকিৎসকদের মতে অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে বাঁচতে করোনা বিধির মতোই দূরত্ব বজার রাখতে হবে। কারণ সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের থেকে দূরে থাকা উচিত। প্রয়োজনে মাস্ক পরতে হবে। অধিক ভিড়ে যাবেন না। জ্বর হলে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে। কোনো মতেই অবহেলা করা চলবে না।

রোগটি মূলত বায়ুবাহিত। শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে পেট, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষতি করে। আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যেই বিভিন্ন উপসর্গ চোখে পড়ে। জ্বরের সাথে বমি বমি ভাব থাকবে। জ্বর কখনও থাকবে। আবার কখনও চলে যাবে।

অ্যাডিনো ভাইরাস
মমতা ব্যানার্জির বাড়ির নিরাপত্তায় নয়া সংযোজন, বসলো ৫০ লক্ষেরও বেশি দামের ক্যামেরা!
অ্যাডিনো ভাইরাস
শীত শেষে বাড়ছে বসন্ত রোগ! কোন কোন খাবার খাবেন প্রতিরোধের জন্য? দেখে নিন

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in