রাজ্যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে শিশু মৃত্যুর ঘটনা। পরিসংখ্যান বলছে গত দু মাসে প্রায় ১০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৩৯ জন শিশু কেবল বিসি রায় হাসপাতালের। সকলেরই শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্তান হারা মা-বাবারা।
শনিবার থেকে রবিবারের মধ্যে আরও ৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বিসি রায় হাসপাতালে। সন্তান হারা এক বাবা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, "চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমার সন্তানকে বাঁচাতে পারেনি। ওনাদের দোষ দেব না। সরকারই এর জন্য দায়ী। আইসিইউ-র ব্যবস্থা থাকলে আমার বাচ্চাটা হয়তো বেঁচে যেতো। ভেন্টিলেটরের অভাব। সরকার যদি না আরও ভেন্টিলেটর প্রদান না করে তাহলে আরও অনেক শিশুর মৃত্যু হতে পারে।"
পরিসংখ্যান অনুযায়ী শেষ ১০ দিনে ৪০ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বিসি রায় হাসপাতাল ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ মিলিয়ে। গত ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৪ জন শিশুর।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, সকল শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে মারা যাচ্ছে না। তাই ডেথ সার্টিফিকেটে অ্যাডিনো লেখা হচ্ছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকছে ঠিকই। এটা যে কোনো ভাইরাসের আক্রমণেই হতে পারে। যাদের অ্যাডিনো ভাইরাসের জন্য মৃত্যু হচ্ছে তাদের সার্টিফিকেটে সেকথা লিখে দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসক সূত্রে খবর, তাঁরা সবরকম চেষ্টা করছেন। কিন্তু আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসা পরিষেবাতে ত্রুটি থেকে যাচ্ছে।
এক চিকিৎসক বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনা সত্যি বেদনাদায়ক। আমরা আমাদের ১০০% দিয়ে চেষ্টা করছি। তবে গরম পড়ায় ধীরে ধীরে এই সংক্রমণ কমতে থাকবে। আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন