মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী উষা ঠাকুরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মাস্ক পরেন না কেন? মন্ত্রীর দাবি, তিনি গত ৩০ বছর ধরে ‘অগ্নিহোত্র’ করেন। তাঁর চারপাশের বায়ু ও পরিবেশ পরিশ্রুত থাকে। এরফলে তাঁর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনই আজব দাবি মন্ত্রীর। মধ্যেপ্রদেশের সংস্কৃতি উন্নয়ন মন্ত্রী ঊষা ঠাকুরের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গামছাটা দুপাট করে মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করা যায় এবং তিনি এমনটাই করেন।
মন্ত্রীর দাবি, “গত ৩০ বছর ধরে আমার প্রতিদিনের রুটিনের মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় অগ্নিহোত্র করা। যা আমার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভাইরাস আক্রমণ আমার কোনও সমস্যা তৈরি করে না।” সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, গতবার তিনি যখন কানওয়াতে এসেছিলেন তখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই সময় ঠান্ডার জন্য কিছু একটা সমস্যা হয়েছিল। কোনও ভাইরাস তাঁকে কাবু করতে পারেনি।
তাঁর এই মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন একজন জনপ্রতিনিনিধি হয়ে কিভাবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন, অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য করতে পারেন তিনি? তবে তাঁকে ঘিরে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে করোনা রুখতে ইন্দোর বিমানবন্দরে দেবী অহল্যা বাই হোলকারের মূর্তির সামনে পুজো করছিলেন গত এপ্রিলেই।
শুধু তাই নয়, তিনি পরিবেশকে শুদ্ধ করার জন্য হোমের আয়োজন করেছিলেন। সাংবাদিকদের বলেছিলেন – “পরিবেশের শুদ্ধিকরণের জন্য চারদিন ধরে যজ্ঞ করুন। একে যজ্ঞ চিকিৎসা বলা হয়। আগেকার দিনে আমাদের পূর্বপুরুষরা মহামারী থেকে রক্ষা পেতে যজ্ঞ চিকিৎসা করতেন। আসুন আমরা সবাই মিলে পরিবেশকে শুদ্ধ করে তুলি, তাহলে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ভারতকে ছুঁতেও পারবে না।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন