AIIMS-সহ দেশজুড়ে একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারী হাসপাতাল আছে। কিন্তু, সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুসারে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে প্রায় ৩০০০ চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। মঙ্গলবার, সংসদে এমনই চাঞ্চল্যকর তুলে ধরেছে কেন্দ্র।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র সুপারিশ ছিল, ভারতে ১ লক্ষ জনসংখ্যার অনুপাতে ১০০ জন চিকিৎসক থাকা আবশ্যক। কিন্তু, জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় হাসপাতালগুলিতে রোগী ও চিকিৎসকের অনুপাত (Doctor Patient Ratio) খুব একটা ভালো জায়গায় নেই।
এক রিপোর্টে ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, 'গত সাত বছরে মেডিক্যাল কলেজগুলির এমবিবিএস (MBBS) ও স্নাতকোত্তর আসন সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলেও, তা যথেষ্ট হয়নি। বর্তমানে ১ লক্ষ জনসংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭। এটি আদর্শ লক্ষ্যমাত্রা থেকে এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে।'
মঙ্গলবার, সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য কর্মীদের শূন্যপদ নিয়ে বিশদে জানতে চান বিজু জনতা দলের (BJD) সাংসদ অমর পট্টনায়েক (Amar Patnaik)। তিনি বলেন, এই শূন্যপদগুলির পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা।
জবাবে, কেন্দ্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, '২০২৩ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত শূন্যপদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে এবং প্রয়োজন অনুসারে নিয়োগ করা হচ্ছে।'
মন্ত্রক জানিয়েছে, দিল্লি AIIMS-এ ২২১ টি, সফদরজং হাসপাতালে ২২০ টি, রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ১১৩ টি এবং লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজে ৮১ টি চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে।
এছাড়া, পুদুচেরির জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ স্নাতকোত্তর মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এ ১৭০ টি, চণ্ডীগড়ের পোস্টগ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে ১৪৬ টি শূন্যপদ এবং শিলংয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সে ১১৯ টি আসনে ডাক্তারের শূন্যপদ রয়েছে।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, AIIMS-পাটনায় ১২৮ টি, AIIMS-ভোপালে ১০৭, AIIMS-যোধপুরে ৮১, AIIMS-কল্যাণীতে ৭৮, AIIMS-ঋষিকেশে ১০৫ এবং AIIMS-রাজকোটে ১১৭ টি শূন্যপদ রয়েছে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকারী হাসপাতালে নার্স এবং অন্যান্য কর্মীদের ২০,০০০ টিরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রক।
এই তথ্য জানার পর, BJD সাংসদ অমর পট্টনায়েক বলেন, 'যখন কমিউনিটি হেলথ সেন্টার বা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে জরুরি পরিষেবা পাওয়া যায় না, তখন মানুষকে এই সমস্ত টারশিয়ারি (tertiary) কেয়ার হাসপাতাল রেফার করা হয়। কিন্তু, সেখানে ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের ঘাটতি রোগীদের বেসরকারী হাসপাতালে যেতে বাধ্য করবে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন