সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০১৯এ বায়ু দূষণের কারণে সম্ভবত প্রায় ৬০লক্ষ শিশুর জন্ম হয়েছে সময়ের আগেই। আর ৩০লক্ষ শিশু জন্মেছে কম ওজন নিয়ে।
ক্যালিফোর্নিয়া-সান ফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় গর্ভাবস্থার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিকে ঘরে-বাইরে দূষণের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। যেমন গর্ভাধানের সময়, গর্ভস্থ শিশুর কম ওজন, জন্মাবার সময় কম ওজন এবং সময়ের আগেই প্রসব।
পিএলওএস পত্রিকায় প্রকাশিত বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে সময়ের আগেই প্রসব এবং নবজাত শিশুর কম ওজনের সমস্যা ৭৮শতাংশ কমানো যেতে পারে। বায়ু দূষণ কমানো যায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে যেখানে অভ্যন্তরীণ দূষণ খুব সাধারণ ব্যাপার এবং সময়ের আগে প্রসবের ঘটনা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
কিন্তু বিশ্বের অতি উন্নত এলাকাতেও বায়ু দূষণের ঝুঁকি লক্ষ্য করা গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সেখানে ২০১৯এ ঘরের বাইরের বায়ু দূষণের কারণে ১২০০০প্রসব হয়েছে সময়ের আগেই।
ইউসিএসএফ-এ ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ সায়েন্সেসের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণটির প্রধান লেখক রাকেশ ঘোষ জানিয়েছেন, বায়ুদূষণের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। যদিও সচেষ্ট প্রয়াসে এটা কমানো যায়।
গবেষকরা বলেছেন, এখন থেকে বুঝতে হবে শুধুমাত্র বয়স্কদের ক্রনিক ব্যাধিই নয়, শিশুরোগ ও শিশুমৃত্যুরও একটি প্রধান কারণ বায়ুদূষণ।
রাকেশ ঘোষ বলেন, তাঁদের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করে ও বায়ুদূষণের মাত্রা কমাতে পারলে নবজাতদের স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য সুপ্রভাব পড়বে।
সময়ের আগে প্রসব ও জন্মের সময় কম ওজনের অন্যতম প্রধান কারণ যে বায়ুদূষণ তার অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। সময়ের আগে প্রসবের কারণে সারা বিশ্বে নবজাত শিশুমৃত্যু বেশি ঘটে। প্রতি বছর ১৫লক্ষের বেশি শিশুর মৃত্যু হয় এই কারণে। এই ধরনের শিশুর সারা জীবন নানা রোগে ভোগার হারও বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতো বিশ্বের জনসংখ্যার ৯০শতাংশ বাস করে বাইরের দূষণের মধ্যে। আর অর্ধেক অংশ ঘরের ভিতর জ্বালানো কয়লা, ঘুঁটে এবং কাঠের জন্য বায়ু দূষণের শিকার হয়।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন