সামনেই দীপাবলি এবং তারপরেই আসছে শীতের মরশুম। তার আগে দেশের বহু রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বায়ুর গুণগত মান বা একিউআই কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জনসাধারণকে গণপরিবহন ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। অত্যধিক যানজটপূর্ণ এলাকা এড়াতে অনুরোধ করেছে।
গত সপ্তাহে এই নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর জেনারেল ডাঃ অতুল গোয়েল। সেখানে জনগণকে খড় এবং বর্জ্য পদার্থ না পোড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, উৎসবের মরশুমে অতিরিক্ত ধোঁয়া নির্গতকারী আতশবাজি ত্যাগ, গণপরিবহন ব্যবহার, ডিজেল-ভিত্তিক জেনারেটরের উপর নির্ভরতা কমানো এবং ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।
গত সপ্তাহে লেখা ওই চিঠিতে ডাঃ গোয়েল আরও লিখেছেন, "বাইরে বেরোনোর আগে সরকারি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বায়ুর গুণমান সূচকগুলি পর্যবেক্ষণ করে নেওয়া উচিত, যাতে দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে কম আসা যায়। ভারী যানজটপূর্ণ এলাকা এড়ানো উচিত।"
তিনি আরও লেখেন, সম্প্রতি বায়ু দূষণ একটি গুরুতর স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বায়ুর গুণমান সূচক (AQI) মাঝারি থেকে নিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। আসন্ন উৎসব মরসুম এবং শীতের শুরুতে এটি আরও খারাপ হতে পারে।
বায়ু দূষণ শ্বাসযন্ত্র, কার্ডিওভাসকুলার এবং সেরিব্রোভাসকুলার সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে। যার ফলে বাড়তে মৃত্যুর সংখ্যা।
ডাঃ গোয়েল লিখেছেন, "এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে তাদের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির প্রস্তুতি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছি। এর মধ্যে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদার করা, আঞ্চলিক ভাষায় গণমাধ্যম চ্যানেলের মাধ্যমে বার্তা প্রচার করা ইত্যাদি রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, এই সময় খেলাধুলা, হাঁটা এবং ব্যায়ামের মতো বাহ্যিক ক্রিয়াকলাপগুলিতে রাশ টানা উচিত। বিশেষত বয়স্ক, গর্ভবতী মহিলা এবং যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাঁদের জন্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন