শিশু ও মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গর্ভবতী মহিলা সহ তাদের অর্ধেকেরও বেশি দেশব্যাপী রক্তাল্পতায় আক্রান্ত। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (NFHS-5) বুধবার এমনই চিত্র তুলে ধরেছে। ১৮০ দিন বা তার বেশি সময় ধরে গর্ভবতী মহিলাদের আয়রন ফলিক অ্যাসিড (IFA) ট্যাবলেট দিয়ে যথেষ্ট উন্নতি হলেও অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক মহিলা ও শিশুর রক্তাল্পতা দেখা দিচ্ছে।
তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরে ২০১৫-১৬ সালে যা ছিল ৫৫ শতাংশ, ২০১৯-২১ সালে তা বেড়ে ৬৪ শতাংশ হয়েছে।
শিশু পুষ্টি সূচকগুলি সর্বভারতীয় স্তরে সামান্য উন্নতি হয়েছে। স্টান্টিং (শিশুদের বৃদ্ধি রোধ) ৩৮ শতাংশ থেকে ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে এবং কম ওজন ৩৬ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশে নেমেছে। সর্বভারতীয় স্তরে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে শিশু পুষ্টির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে এই সূচকগুলি অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে সর্বভারতীয় স্তরে Institutional Birth অর্থাৎ উপযুক্ত পরিকাঠামোতে ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে জন্ম হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ৭৯ শতাংশ থেকে ৮৯ শতাংশে পৌঁছেছে এই হার। পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুতে Institutional Birth ১০০ শতাংশ। ১২টি ফেজ II রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ৭টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই হার ৯০ শতাংশের বেশি। Institutional Birth বৃদ্ধির পাশাপাশি, অনেক রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশেষ করে যেখানে বেসরকারী স্বাস্থ্য সুবিধাগুলি আছে সেখানে সি-সেকশন প্রসব অর্থাৎ সার্জারির মাধ্যমে প্রসব যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্ববর্তী NFHS-4 এবং NFHS-5 ডেটার তুলনা করে দেখা যাচ্ছে অনেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে টিকাদান ত্বরান্বিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের সদস্য ডাঃ বিনোদ কুমার পাল এবং স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ ১৪ টিরা জ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জনসংখ্যা, প্রজনন ও শিশুস্বাস্থ্য, পরিবারকল্যাণ, পুষ্টি এবং অন্যান্য বিষয়ের এই তথ্যগুলি প্রকাশ করেছেন। দ্বিতীয় পর্বে যে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সমীক্ষা করা হয়েছিল সেগুলি হল - অরুণাচলপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লির NCT, ওড়িশা, পুদুচেরি, পাঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশএবংউত্তরাখণ্ড।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন