শারদ উৎসবের আগেই শহরের বুকে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গুর দাপট। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁইছুঁই। ফের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম সুব্রত সরকার। ৬১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা ছিলেন।
সুব্রত বাবুর ছেলে শুভ্র সরকার জানান, গত বুধবার জ্বর আসে তাঁর বাবার। কয়েকদিন পর জ্বর না ছাড়ায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো হয় তাঁর। রিপোর্টে দেখা যায় তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত। এমতাবস্থায় বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সুব্রত বাবুর পরিবার মারফত জানা গেছে, সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁর দেহে অনুচক্রিকার সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা করে দেখা যায়, অনুচক্রিকা কমে ২৫ হাজারে নেমে গেছে। তাই তাঁকে জরুরি বিভাগে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। কিন্তু বুধবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুব্রত বাবু। এরপর মৃত্যু হয় তাঁর।
রাজ্যে যে হারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে তাতে করোনা পুরোপুরি না কাটতেই ফের বিপদের মুখে সাধারণ মানুষ। অথচ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেনি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, শুধু মঙ্গলবারের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের ৬০৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুধু মঙ্গলবারই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬৫ জন।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতে। এর মধ্যে রয়েছে সল্টলেক, দক্ষিণ দমদম, টিটাগড়। দেগঙ্গা, বারাসত-১, স্বরূপনগরের মতো গ্রামীণ এলাকাতেও ডেঙ্গুর গ্রাফ ক্রমশ উর্ধ্বমূখী।
তবে, উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং দার্জিলিং জেলাতেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যার জেরে চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন