রাজস্থানের কোটায় আত্মঘাতী হল আরও এক ছাত্র। ১৭ বছর বয়সী ওই ছাত্র জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থী নিজের হোস্টেলের ঘরেই আত্মঘাতী হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে পুলিশ। আত্মঘাতী ছাত্র মণীশ প্রজাপত উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা। মাত্র মাস ছয়েক আগেই ওই ছাত্র কোটায় এসেছিল। এই নিয়ে গত ৮ মাসে কোটায় ২০ জন ছাত্র আত্মঘাতী হল।
পুলিশ সূত্র অনুসারে, আনএকাডেমি ইন্সটিটিউট থেকে ওই ছাত্র জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আত্মঘাতী ছাত্র জওহর নগর পুলিশ থানার অন্তর্গত মহাবীর নগরের এক হোস্টেলে থাকত।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিহত ছাত্রের বাবা গত বৃহস্পতিবার দেখা করতে এসেছিলেন। ওইদিনও সন্ধ্যায় তিনি ফিরে যান। এর ঘণ্টা চারেক পরেই ওই ছাত্র আত্মঘাতী হয়।
হোস্টেলের কেয়ারটেকার রাকেশ জানিয়েছে, কয়েকমাস আগেই ওই হোস্টেলে এসেছিল মণীশ। রাকেশের বক্তব্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার মণীশের বাবা কোনও কারণে রেগে ছিলেন। ঘটনার দিন মণীশ সাড়ে ৬টা নাগাদ কোচিং থেকে ফের এবং সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ রাতের খাবার খেতে নেমেছিল। জীবিত অবস্থায় তখনই তাঁকে শেষ দেখা যায়।
রাকেশ আরও জানিয়েছে, রাত ৮টা নাগাদ মণীশের বাবা ফোন করলেও ওই সময় ফোন ধরেনি মণীশ। এরপর তিনি হোস্টেলের কেয়ারটেকারকে ফোন করেন। এরপর রাকেশ প্রজাপতের ঘরে গিয়ে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বেডশীট দিয়ে আত্মঘাতী হয় মণীশ। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে মণীশের দেহ উদ্ধার করে।
গত বছর কোটাতে আত্মঘাতী হয়েছিল ১৫ জন ছাত্র। এই বছর এখনও পর্যন্ত ২০ জন ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছে। যার মধ্যে গত মে মাসেই আত্মঘাতী হয় ৫ জন ছাত্র।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন