পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় ফের আদালতে প্রশ্নের মুখে রামদেব। 'ভুয়ো' বিজ্ঞাপন যত বড় করে দেওয়া হতো, ক্ষমাপ্রার্থনা সেই আকারেই করা হয়েছে তো? রামদেবের উদ্দেশ্যে এমনই প্রশ্ন করলেন বিচারপতিরা।
মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে একাধিকবার ভর্ৎসিত হয়েছেন পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের কর্ণধার রামদেব এবং সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বালকৃষ্ণ আচার্য। আদালতের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ আচার্য। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট ছিল না আদালত। গত শুনানিতে পতঞ্জলিকে জনসাধারনের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
আজ পতঞ্জলির পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, ৬৭টি সংবাদপত্রে ক্ষমা চেয়েছে পতঞ্জলি। ক্ষমাপত্রে বলা হয়েছে পতঞ্জলি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং একই ভুল দ্বিতীয়বার হবে না। সংবাদপত্রে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রকাশের কারণে আমরা ক্ষমা চেয়েছি। এমনকি সাংবাদিক সম্মেলন করেও ভুল স্বীকার করা হয়েছে।
এরপর বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ প্রশ্ন করেন, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন যেভাবে প্রচার করা হত, সেভাবেই ক্ষমা চাওয়া হয়েছে তো? বিজ্ঞাপনগুলির আকার এবং ফন্ট যা ছিল, ক্ষমাপ্রার্থনার আকার এবং ফন্ট তাই আছে তো? কারণ আপনি যখন একটি বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন সেটা যাতে সকলের চোখে পড়ে সেটা দেখা উচিত। কেউ তো আর মাইক্রোস্কোপ দিয়ে আপনার বিজ্ঞাপনে কী লেখা আছে সেটা দেখতে যাবে না! এমনভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া উচিত যাতে লোকে সংবাদপত্র হাতে নিয়েই সেটি দেখতে পান।
দুই বিচারপতির বেঞ্চ আরও জানায়, সংবাদপত্রে দেওয়া সমস্ত বিজ্ঞাপন (ক্ষমা চাওয়ার) সংগ্রহ করে আদালতের সামনে জমা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি এবং চিকিৎসকদের অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে রোগ নিরাময় নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি করে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন