কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশ করা ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখে উদ্বেগে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসক মহল। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সরকারি হিসেবে ২০২২ সালে ভারতের সবক'টি রাজ্যের মধ্যে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি পশ্চিমবঙ্গেই। গত বছরর রাজ্যে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া মিলিয়ে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ৬৭ হাজার ২৭১ জন। আর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ হাজারেরও বেশি। সরকারি মতে, ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জনের। যদিও বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি। সরকারি তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ১৯ হাজারের একটু বেশি। তবে তা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অনেকটাই কম।
যদিও এখানেও রাজনীতি দেখছে বাংলা। রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রিপোর্টগুলি যদি ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হতো তাহলে এত বেশি মনে হতো না। কেন্দ্র ইচ্ছা করে একসাথে রিপোর্ট পেশ করেছে। যাতে সংখ্যাটা বেশি মনে হয়। আমরা সময় মতো সমস্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এমন কেন করা হলো তা বুঝতে পারছি না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর বিরোধী দলগুলি বার বার রাজ্যের ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে পথে নেমেছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না। তথ্য গোপন করছে। কেন্দ্রের তরফ থেকেও একাধিকবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন রাজ্য কোনও রিপোর্ট দেয়নি বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল।
এই রিপোর্ট যে বেশ চিন্তার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চিকিৎসকদের মতে মশাবাহিত রোগগুলি নিরাময় করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং পৌরসভাগুলিকে। প্রশাসনের নজরদারিও বাড়াতে হবে। নয়তো আগামী বছরেও সেই একই চিত্র ধরা পড়বে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন