গত জানুয়ারি মাস থেকে দেশে শুরু হয়েছে কোভিডের টিকাকরণ। কিন্তু আটমাস পর টিকাকরণে সবথেকে পিছিয়ে রয়েছে বাংলা। মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪১.১৬ শতাংশের টিকাকরণ হয়েছে। টিকাকরণে সবার প্রথমে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ। সেখানে প্রায় ৯৯.৬ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। তার ঠিক পরেই রয়েছে উত্তরাখণ্ড, কেরল, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ। শেষের দিকে রয়েছে তামিলনাড়ু, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, সবশেষে পশ্চিমবঙ্গ।
রাজ্যের এক আধিকারিকের কথায়, কেন্দ্র সব রাজ্যে সমানভাবে ভ্যাকসিন বণ্টন করছে না। পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ বৃহত্তম জনসংখ্যার রাজ্য। কিন্তু মাত্র ৪২.২ মিলিয়ন টিকা এসেছে রাজ্যে। তবে জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের পিছনে গুজরাট এবং কর্ণাটক। এই দুই রাজ্য যথাক্রমে ৪৭.৮ মিলিয়ন ও ৪৪ মিলিয়ন টিকা পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসে ১০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন পেয়েছে রাজ্য। সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রের ১৩ মিলিয়ন ডোজ পাঠানোর কথা। ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী মোট ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৪ কোটি ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৩৩ জন। টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ২ জনের।
উল্লেখ্য, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভ্যাকসিন নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিলেন। এরই পাশাপাশি যাতে সমানভাবে ভ্যাকসিন বণ্টন হয় সেই জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও টিকা বণ্টন নিয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে কম পরিমাণ টিকা সরবরাহ হয়েছে।
তবে জানা গিয়েছে, যাঁরা করোনার প্রথম টিকা নিয়েছেন, তাঁদের ৩৯ শতাংশই দ্বিতীয় টিকা পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে যে রাজ্যে প্রথম টিকাকরণ পর্ব দ্রুতগতিতে হয়েছে, সেখানে দ্বিতীয় টিকায় তেমন গতি নেই। হিমাচল প্রদেশে যাঁরা প্রথম টিকা নিয়েছেন, তার মাত্র ৩২ শতাংশকে দ্বিতীয় টিকা দেওয়া হয়েছে। গুজরাট ও কেরলে যেই সংখ্যাটা ৩৪ শতাংশ ও ৩৬ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন