মারণ রোগ সিলিকোসিস (Silicosis) মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার, তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
রাজ্যের বিভিন্ন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, পাথর খাদান, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেসকল শ্রমিকরা কাজ করছেন, তাঁদের ফুসফুসে বাসা বাঁধছে মারণ রোগ সিলিকোসিস (Silicosis)। পাথর ভাঙতে গিয়ে সেই গুঁড়ো নাকে ঢুকে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। এমনকি, অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন।
এই রোগে আক্রন্ত শ্রমিকদের চিকিৎসা, পরিবারকে সাহায্য এবং এই অসুখ রোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য, লিখিতভাবে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে, নতুন পলিসি আনার জন্য কী পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার, তাও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ মে’র মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মামলার মূল অভিযোগ ছিল, যাঁরা সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত, তাঁদের প্রতি রাজ্য উদাসীন।
এদিন মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। তিনি আদালতে জানান, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষ সিলিকোসিসে আক্রান্ত এবং সাম্প্রতিক অতীতে অনেকেই মারা গেছেন। কিন্তু, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন দিতে অনিচ্ছুক রাজ্য সরকার।
তিনি জানান, এই ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য ২০২১ সালে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। এ নিয়ে পৃথক নীতি রয়েছে। কিন্তু, সেগুলি কোনটিরই বাস্তবায়ন হয়নি।
এরপর, এই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, সিলিকোসিস আক্রান্তদের পুনর্বাসন দিতে ও রোগের চিকিৎসায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগামী ৯ মে’র মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন