ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) মাদ্রাজের গবেষকদের সমীক্ষা অনুসারে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারত জুড়ে সিজারিয়ান সেকশন (সি-সেকশন) ডেলিভারির সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি ঘটেছে।
পিয়ার-রিভিউড জার্নাল বিএমসি প্রেগন্যান্সি অ্যান্ড চাইল্ডবার্থে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ১৭.২ শতাংশ থেকে, ২০২১ সালে ভারত জুড়ে সি-সেকশনের ঘটনা বেড়ে হয়েছে ২১.৫ শতাংশ।
যদিও উচ-ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সি-সেকশন একটি জীবন রক্ষাকারী পদ্ধতি। সোমবার গবেষকরা বলেন, "ক্লিনিক্যাল কারণগুলি অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় কারণ নয়।" বিশেষ করে তামিলনাড়ু এবং ছত্তিশগড়ের ক্ষেত্রে এই ঘটনা দেখা গেছে।
প্রয়োজন ছাড়া সি-সেকশনের ফলে মাতৃ সংক্রমণ, জরায়ু রক্তক্ষরণ, শিশুর শ্বাসকষ্ট এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়, যা মা এবং শিশু উভয়কেই প্রভাবিত করে।
এছাড়াও, সরকারি হাসপাতালের তুলনায় মহিলাদের বেসরকারি হাসপাতালে সন্তান প্রসবে সি-সেকশন ডেলিভারির সম্ভাবনা চারগুণ বেশি পাওয়া গেছে।
২০১৬ সালে ৪৩.১ শতাংশ মহিলা বেসরকারী ক্ষেত্রে সি-সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন। ২০২১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৯.৭ শতাংশ। যার অর্থ বেসরকারী ক্ষেত্রে প্রতি দুটি ডেলিভারির মধ্যে একটি সি-সেকশন। ছত্তিশগড়ে, মহিলাদের এক বেসরকারী হাসপাতালে সি-সেকশন দ্বারা প্রসবের সম্ভাবনা ১০ গুণ বেশি ছিল। অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে এই সংখ্যা তিনগুণ বেশি ছিল।
সোমবার এক বিবৃতিতে আইআইটি মাদ্রাজের হিউম্যানিটিস ও সোশ্যাল সায়েন্স বিভাগের ভি আর মুরলীধরণ বলেন, "ছত্তিশগড় এবং ভারত জুড়ে, যারা দরিদ্র নন তাদের সি-সেকশন বেছে নেওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল। অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে, আশ্চর্যজনকভাবে বেসরকারী হাসপাতালে দরিদ্রদের সি-সেকশন করানোর প্রবণতা বেশি ছিল।"
গবেষকরা মহিলাদের পছন্দ, তাদের আর্থ-সামাজিক স্তর এবং শিক্ষাকে সি-সেকশন ডেলিভারি বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, অতিরিক্ত ওজনের মহিলাদের ক্ষেত্রে এবং তুলনামূলকভাবে মাতৃত্বের বয়স পেরিয়ে যাওয়া (৩৫-৪৯ বছর বয়সী) মহিলাদের সি-সেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ থাকলেও তা কম ছিল।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, “তামিলনাড়ুতে বেসরকারী ক্ষেত্রে সি-সেকশন করানো দরিদ্র মহিলাদের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এর জন্য আরও বিশ্লেষণ এবং সংশোধনমূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন। এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টি চিকিৎসাগতভাবে অপ্রয়োজনীয় হতে পারে।“
২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৯-২১ সালে পরিচালিত ন্যাশনাল ফ্যামিলি হে্ল্থ সার্ভে (NFHS) এর তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে।
(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter staff and is published from a syndicated feed)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন