করোনা আবহে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে বিরোধীরা নানা সময়ে সরব হয়েছে। কোভিড বিধি মেনেই স্কুল খুলে দেওয়া হোক ছোটদের পড়াশোনার স্বার্থেই, এমন দাবিও তোলা হয়েছে। কিন্তু এখনও বন্ধই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এবার স্কুল খোলার ব্যাপারে সওয়াল করল আইসিএমআর। কেন্দ্রকে এই মর্মে সুপারিশ করে তারা জানিয়েছে, প্রাথমিক স্কুল খুলুক। বাচ্চারা নিজেরাই বেশি ভালো করোনাকে প্রতিরোধ করতে পারবে।
সম্প্রতি আইসিএমআরের পক্ষ থেকে জুন-জুলাইজুড়ে জাতীয় সেরো-সার্ভে সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশের এখনও এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৪০ কোটি মানুষের শরীরে করোনা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। অর্থাৎ তাঁরা এখন সংক্রমণ প্রবণ। মোট জনসংখ্যার ৬৭.৬ শতাংশ মানুষের দেহে করোনা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যাদের বয়স ৬ বছরের ঊর্ধ্বে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ৮৫ শতাংশের দেহে তৈরি হয়েছিল কোভিড অ্যান্টিবডি, যাঁদের এক-দশমাংশ টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে নেই।
এদিন সংসদে ব্যবহারযোগ্য আগামী চারটি টিকার হিউম্যান ট্রায়াল প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, ক্যাডিলার ডিএনএ নির্ভর টিকা, বায়োলজিক্যাল-ই’র টিকা, ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রা-ন্যাজাল টিকাও তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে আছে। পাশাপাশি জেনোভার এম-আরএনএ টিকা প্রথম পর্যায়ে এবং গুরগাঁওয়ের সংস্থা জেনিক লাইফ সায়েন্সের টিকা একদম প্রি-প্রাথমিক হিউম্যান ট্রায়ালে রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন