ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা - হু (WHO)। মঙ্গলবার, এক বিজ্ঞপ্তিতে হু জানিয়েছে, এক ভারতীয় কোম্পানির তৈরি দূষিত কাশির সিরাপ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং মাইক্রোনেশিয়ায় (Marshall Islands and Micronesia) পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিকিৎসা পণ্য সতর্কতায় জানিয়েছে যে, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ এবং ফেডারেটেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়াতে নিম্নমানের (দূষিত) 'গুয়েফেনেসিন সিরাপ টিজি সিরাপ' (Guaifenesin Syrup TG Syrup’)-এর একটি ব্যাচ চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং, এ নিয়ে WHO-কে রিপোর্ট করা হয়েছে ৬ এপ্রিল, ২০২৩।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গুয়েফেনেসিন (Guaifenesin) হল একটি কাফ সিরাপ, যা বুকের কফ এবং কাশির লক্ষণগুলি উপশম করতে ব্যবহৃত হয়। অস্ট্রেলিয়ার থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (TGA) পরীক্ষাগারে এই ওষুধের মান পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এই ওষুধটি দূষিত। এতে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল (diethylene glycol) এবং ইথিলিন গ্লাইকোল (ethylene glycol) রয়েছে।
জানা গেছে, দূষিত এই কাশির সিরাপ প্রস্তুতকারী সংস্থা হল - পাঞ্জাবের কিউপি ফার্মাচেম লিমিটেড (QP PHARMACHEM LTD)। আর, সিরাপটির বিপণনের দায়িত্বে ছিল হরিয়ানা ভিত্তিক ট্রিলিয়াম ফার্মা (TRILLIUM PHARMA) কোম্পানি। আজ অবধি, উল্লিখিত প্রস্তুতকারক বা বিপণনকারী সংস্থা, কেউই এই পণ্যগুলির সুরক্ষা এবং গুণমান সম্পর্কে WHO-কে নিশ্চয়তা দেয়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগে, হরিয়ানার (Haryana) মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে গাম্বিয়ায়। এরপর, ওষুধের ফর্মুলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারপরে, এই কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করে দেয় হরিয়ানা সরকার।
এছাড়া, গত বছরের শেষে, কাশির সিরাপ ‘ডক ১ ম্যাক্স’ (Doc-1 Max Syrup) খেয়ে উজবেকিস্তানে ১৯ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর ফলে নয়ডার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘ম্যারিয়ন বায়োটেক' কোম্পানির সব ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন