যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ল্যাব টেকনিশিয়ানের মাসিক ভাতার থেকেও কম। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অস্থায়ীভাবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতেই ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগেরও উল্লেখ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সপ্তাহে তিন দিন ২ ঘন্টা করে চিকিৎসকদের কাজ করতে হবে। দৈনিক ৭০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। অর্থাৎ মাসিক ভাতা হবে ৮,৪০০ টাকা। ল্যাব টেকনিশিয়ানদের সপ্তাহে ৩ দিন ৩ ঘন্টা করে কাজ করতে হবে। মাসিক ভাতা দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা। এই বিজ্ঞপ্তি নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম ফর ডক্টর্সের নেতা মানস গুমটা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তির তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি লেখেন, "স্তম্ভিত হয়ে গেছে চিকিৎসক সমাজ। কোথায় চলেছি আমরা। একজন অভিজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের এই রকম অসম্মানজনক চাকরির শর্ত? তাও আবার সরকারি ক্ষেত্রে?"
তিনি আরও লেখেন, "নিট ইউজি প্রবেশিকা পরীক্ষার ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতায় সফল হয়ে, সাড়ে পাঁচ বছরের এমবিবিএস কোর্স। বিশেষজ্ঞ হতে গেলে আবারও কঠিনতম প্রতিযোগিতা। নিট-পিজি সফল হয়ে তিন বছরের এমডি, এমএস কোর্স এবং তিন বছরের কম্পালসারি বন্ড সার্ভিস। তারপরেও পাঁচ বছর কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের, সরকারি বিশ্ব বিদ্যালয়ে, চুক্তি চাকরির মাইনে ঘন্টায় ৩৫০ টাকা? এ লজ্জা রাখবো কোথায়? দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের এই মূল্য? যারা এই বেতনক্রম ঠিক করেছেন ধিক্কার জানাই তাঁদের। ধিক্কার জানাই রাজ্য সরকারকেও"।
মানস গুমটার পাশাপাশি সরব হয়েছেন আরও অনেকে। কেউ লিখেছেন, 'এটাইতো তৃণমূলীদের রাজত্ব। যেখানে শিক্ষার দাম নেই'। আবার কেউ লিখেছেন, 'ডাক্তারি পড়ে লাভ নেই। এবার থেকে রাজনীতি করতে হবে'।
মানস গুমটার ফেসবুক পোস্ট -
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন