কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর ছড়ানোর পরই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললো এক দম্পতি। অভিযোগ, তাঁদের কন্যা করুণ্যার মৃত্যু হয়েছে কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে।
সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড নিয়ে যুক্তরাজ্যের আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। আদালতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এরই মধ্যে টিকা উৎপাদনকারী সিরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল ভারতের এক দম্পতি। ভেণুগোপালান গোভিন্দম নামের এক ব্যক্তি বলেন, কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার পরই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। সিরাম ইনস্টিটিউটকে এর দায় নিতে হবে।
তাঁর কথায়, ২০২১ সালে টিকা নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর মেয়ে করুণ্যার মৃত্যু হয়। তখনই তাঁর মনে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। এখন অ্যাস্ট্রোজেনেকার স্বীকারোক্তির পর সেই সন্দেহ অমুলক ছিল না বলে মনে করছেন তিনি। সেখান থেকেই এই অভিযোগ করছেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী।
সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই তরুণীর মৃত্যু টিকা নেওয়ার কারণেই হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ উপযুক্ত প্রমাণের অভাব রয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা উৎপাদন করেছিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সম্প্রতি এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে অন্যতম হল টিটিএস বা ‘থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’। টিটিএস-র ফলে কমে যেতে পারে রক্তে প্লেটলেটসের মাত্রা। শরীরের যে কোনও জায়গায় বিশেষ করে মস্তিষ্কে জমাট বাঁধতে পারে রক্ত। যার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর উত্তাল গোটা বিশ্ব। কারণ ভারত সহ তৃতীয় বিশ্বের সমস্ত দেশে কোভিড প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কোভিশিল্ড টিকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন