জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ-এর তথ্য অনুসারে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছিল যা মেয়াদ শেষ হওয়ার কাছাকাছি ছিল। ফলে ওই ভ্যাকসিন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি ফেলে দিতে বাধ্য হয়।
ইউনিসেফের সরবরাহ প্রধান ইটলেভা কাদিলি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ডিসেম্বরেই ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন দেশগুলি প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ তারা সেগুলি বিতরণ করতে পারেনি। এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের কাছে কাদিলির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, অনেক দেশের অপর্যাপ্ত স্টোরেজ সুবিধার কারণে এই সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। বিশ্বের বহু দরিদ্র দেশ, যাদের বেশিরভাগই আফ্রিকার, তাদের ভ্যাকসিনের জন্য জাতিসংঘ-সমর্থিত কোভ্যাক্স প্রকল্পের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এই প্রকল্প গত বছরের শুরুর দিকে ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল, কিন্তু ২০২১ সালের শেষের দিকে ধনী দেশগুলি তাদের কাছে থাকা ডোজগুলি ছেড়ে দেওয়ায় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হয়েছিল।
ইউনিসেফের অস্থায়ী ট্র্যাকিং অনুসারে, ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত UN-সমর্থিত উদ্যোগের মাধ্যমে প্রায় ৯১০ মিলিয়ন ডোজ বিতরণ করা হয়েছিল। ডিসেম্বরে বিতরণ করা প্রায় অর্ধেক ডোজ তিনটি মার্কিন-সমর্থিত ভ্যাকসিন নির্মাতাদের কাছ থেকে এসেছে: জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না এবং ফাইজার।
প্রস্তাবিত এই ডোজগুলির অনেকগুলি তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের কাছাকাছি ছিল এবং যার ফলে প্রাপক দেশগুলি সেই ডোজ প্রত্যাখ্যান করেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
ভ্যাকসিনের অভাবে ভোগা নাইজেরিয়ার মতো কিছু দেশ তাদের মেয়াদোত্তীর্ণ এই সব ডোজ ধ্বংস করতে বাধ্য হয়েছে। এই মহাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ মানুষকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডাঃ টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস জানিয়েছেন, “বিশ্বব্যাপী এখন ৯.৪ বিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু ৯০টি দেশ গত বছরের শেষ নাগাদ তাদের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি এবং এদের মধ্যে ৩৬টি দেশ এখনও তাদের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ টিকাও দিতে পারেনি।”
ঘেব্রেয়েসাস বলেন, আফ্রিকার জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশেরও বেশি – সংখ্যার বিচারে যা প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ - তাঁরা এখনও ভ্যাকসিনের একটি ডোজও পাননি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, "এই ফাঁকগুলো বন্ধ করার জন্য একসাথে কাজ না করলে আমরা মহামারীর তীব্র পর্যায়ের শেষে পৌঁছতে পারবো না।"
(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন