উৎসবের মরশুমে ফের দেশ জুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্তে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। গত ছ’মাসের মধ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি মানুষ মারা গেছেন করোনা আক্রান্ত হয়ে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ছ’জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের মধ্যে তিনজন কেরালার, দুজন কর্ণাটকের এবং একজন পাঞ্জাবের।
অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫৯৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ মাসের এক শিশু রয়েছে। সম্প্রতি বিহার থেকে বাবা-মার সাথে বাংলায় এসেছে শিশুটি। এই মুহূর্তে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। আক্রান্তদের মধ্যে আরও দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, কারণ এঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে। বাকি দুজন বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন।
করোনার নয়া ভ্যারিয়েণ্ট জেএন ১-এর সন্ধান পাওয়া গেছে দেশে। এরপর থেকেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এই নয়া ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, যে ছ’জন মারা গেছেন, তারা বহুদিন ধরেই বিভিন্ন গুরুতর রোগে অসুস্থ ছিলেন। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত হতে নিষেধ করা হচ্ছে। তবে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। হাসপাতালগুলিকে টেস্ট বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যায়, সে বিষয়েও কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বুধবার রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। জরুরীভিত্তিতে করা এই বৈঠকে করোনা নিয়ে রাজ্যগুলির প্রস্তুতি কেমন, তা নিয়েআলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেরলে এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএন ১-এর প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। ৭৯ বছর এক মহিলার শরীরে পাওয়া গেছে এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট। এর আগে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি থেকে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর শরীরেও ধরা পড়েছিল করোনা ভাইরাসের জেএন.১ উপপ্রজাতি। তার পর থেকেই এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন