ডেঙ্গু নিয়ে ক্রমশ চিন্তার ভাঁজ পড়ছে চিকিৎসকদের কপালে। নিত্য নতুন উপসর্গ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কারুর শরীর বেঁকে যাচ্ছে তো কারুর চামড়া ফেটে রক্ত বেরোচ্ছে। পরীক্ষা করার পর দেখা যাচ্ছে সকলেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসক মহলের দাবি, করোনা আসার পর থেকে ডেঙ্গু কার্যত বদলে গেছে। এখন শ্বাসকষ্ট হলেও ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রোগীর বিভিন্ন অর্গ্যান ফেল করে যাচ্ছে। যার জেরে চিকিৎসা করাই সম্ভব হচ্ছে না। দিন দিন আরও মারাত্মক আকার ধারণ করছে ডেঙ্গু। আর এটা হয়েছে বিশেষত করোনার পর থেকে। সমস্ত মানুষদের অনুরোধ করা হচ্ছে সাবধানে থাকতে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশা। বাড়ির ফ্রিজে বা ফুলদানিতে যাতে না মশা ডিম পাড়তে পারে তার জন্য নুন দিয়ে রাখতে হবে। ফাঁকা ফুলের টব থাকলে তা উলটে রাখতে হবে। ফলে জল জমার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। তাছাড়া এডিস মশা নিয়ে কিছু তথ্যও দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল, এডিস মশার ডিম ভিজে জায়গায় তিন বছর পর্যন্ত ঠিক থাকতে পারে। তিন বছরের মধ্যে ওই ভিজে জায়গায় জল ভর্তি করলে ডিম থেকে বাচ্চার জন্ম হবে। তাই সব জায়গা ভালো ভাবে শুকনো করে পরিষ্কার করা দরকার। আর এই মশা সকাল ৭-১০টা এবং বিকেলে ৫-৬টার মধ্যে কামড়ায়।
ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সকলকে বলা হচ্ছে, ঘরের আশেপাশে জল যেন না জমে থাকে। পরিবারের কারুর জ্বর হলে তাঁকে মশারির ভিতর রাখতে হবে। শিশুদের হাত পা ঢাকা পোশাক পরাতে হবে। বাড়িতে মশা মারার ধূপ ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে ফ্যান চালিয়ে রাখা যায়, যাতে মশা না শরীরে বসতে পারে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, এটা শুধু প্রশাসনের দায়িত্ব নয়। সকল মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা এগিয়ে আসুন। কারুর যদি বাড়ির ভিতর ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া যায় সেখানে তাঁদেরকে অনুরোধ করবো আইনত ব্যবস্থা পরের কথা আগে সহযোগীতা করা। আর নোংরা জলে ডেঙ্গু হয় না। পরিষ্কার জলেই হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন