এবার থেকে যখন ইচ্ছা কোনো কারণ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারবেন না চিকিৎসকরা। প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার কারণ উল্লেখ করতে হবে তাঁদের। সম্প্রতি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহারের উপর রাশ টানতে এমনই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিকর্তা অতুল গোয়েল সম্প্রতি ডাক্তারদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগগুলি রোগীদের প্রেসক্রাইব করার সময় সমস্ত ডাক্তারকে বাধ্যতামূলকভাবে তার সঠিক কারণ উল্লেখ করতে হবে।
শুধু ডাক্তার নয়, ওষুধ বিক্রেতাদেরও সতর্ক করা হয়েছে, যেন কোনও রকম বৈধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া তারা গ্রাহকদের অ্যান্টিবায়োটিক না দেন। চিকিৎসকেদের নির্ধারণ করা ডোজ ও কারণ দেখাতে পারলে তবেই রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ১.২৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী ছিল অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স। এবং ৪.৯৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী। WHO বলেছে, এই রেজিস্ট্যান্স ওষুধের গুনাগুণ ক্ষুণ্ন করে। সার্জারি, সিজারিয়ান বিভাগ এবং ক্যান্সার কেমোথেরাপির মতো চিকিৎসা পদ্ধতিগুলিকে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
মহারাষ্ট্র রাজ্য ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অনিল নাভান্দর এক সংবাদ মাধ্যমে জানান, তাঁর সংস্থা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার এড়াতে রসায়নবিদদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতামূলক কর্মশালা করছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন