বয়সকালে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমাতে চান? উপায় বাতলে দিলেন গবেষকরা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ফল, সবুজ শাক-সবজি, বাদামজাতীয় খাবার এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক-সহ সকল কার্ডিওভাস্কুলার রোগের প্রবণতা কমাতে পারে।
একটি ইউরোপিয়ান জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস তৈরি করার বিভিন্ন পথ রয়েছে। যেমন, পরিমিত পরিমাণে গোটা শস্য ও আনপ্রসেসড মাংসকে দৈনন্দিন ডায়েটে একটি স্থায়ী জায়গা দিতে হবে। সম্প্রতি, ৮০টি দেশের প্রায় ২ লক্ষ ৪৫ হাজার মানুষকে নিয়ে কয়েকটি সমীক্ষা করেছে পপুলেশন হেলথ রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পি এইচ আর আই)-এর গবেষক ও বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা তাদের সাহায্যকারী সংস্থারা।
প্রসপেক্টিভ আরবান অ্যান্ড রুরাল এপিডেমিওলজিকাল (পি ইউ আর ই)-এর প্রধান তদন্তকারী ও উচ্চপদস্থ লেখক সেলিম ইউসুফ এই নিয়ে জানিয়েছেন, “পশ্চিমী দেশগুলিতে কার্ডিওভাস্কুলার রোগ এবং এই রোগে মৃত্যুর সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের একটি নিবীড় সম্পর্ক দেখা গিয়েছে। বিশেষত ওই অঞ্চলের মানুষের পুরনো খাদ্যাভ্যাস যেমন EAT-Lancet প্ল্যানেটরি ডায়েট ও মেডিটেরানিয়ান ডায়েটের সঙ্গে হৃদরোগের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।” গবেষকদের মতে, খাদ্য ও পুষ্টির সংমিশ্রণে প্রক্রিয়াজাত ও অধিক-প্রক্রিয়াজাত খাবার একজন মানুষের শারীরিক সুস্থতায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
পিএইচআরআই-এর গবেষক, অধ্যাপক ও লেখক অ্যান্ড্রু মেনতে জানিয়েছেন, “সম্প্রতি রোগ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেড়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র প্রচুর পরিমাণে ফল, শাক-সবজি, বাদাম ও দুগ্ধজাতীয় খাবার খেলেই হবে না। গবেষকরা দেখিয়েছেন, এইসব প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না, সেগুলির পরিমাণটাই রোগ প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি।”
প্রসঙ্গত ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন বা হু-এর মতে, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন যা ওই বছর গোটা বিশ্বের মোট মৃত্যুর ৩২ শতাংশ। আবার, এই ১৮ মিলিয়নের মধ্যে ৮৫ শতাংশ মানুষ শুধুমাত্র হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকে প্রাণ হারিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন