ভুল এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ না করলে প্রতি পণ্যের জন্য এক কোটি টাকা করে জরিমানা করা হবে। যোগগুরু রামদেবের কোম্পানি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে তীব্র ভর্ৎসনা করে এই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট।
একাধিক জটিল রোগের অব্যর্থ নিরাময়কারী হিসেবে পতঞ্জলির পণ্যগুলির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। মঙ্গলবার আইএমএ-র আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চ বলেছে, “পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের এই ধরনের সমস্ত মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এরপরও যদি এমন হয়, তাহলে আদালত এই ধরনের যে কোনও লঙ্ঘনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেবে। যদি এভাবে মিথ্যে ও বিভ্রান্তকর দাবি করে বিজ্ঞাপন করা হয়, তাহলে প্রতি পণ্যের উপর এক কোটি করে জরিমানা আরোপের বিষয়েও বিবেচনা করতে হতে পারে বেঞ্চকে।“
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থিত আইনজীবীকে এই ধরণের বিভ্রান্তকর বিজ্ঞাপন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত বছরের ২৩ আগস্ট টিকাকরণ এবং আধুনিক ওষুধের বিরুদ্ধে রামদেবের মিথ্যা প্রচার নিয়ে মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডকে নোটিশ জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। নোটিশে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অ্যালোপ্যাথিক অনুশীলনকারীদের আক্রমণ করার জন্য বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত যোগগুরু রামদেবের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রককে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, রামদেবকে চিকিত্সক এবং চিকিত্সার বিভিন্ন ব্যবস্থার অপপ্রচার করা থেকে অবিলম্বে বিরত করা দরকার।
তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে বলেছিল, “এই গুরু রামদেব বাবার কী হয়েছে? আমরা তাঁকে যথেষ্ট সম্মান করি কারণ তিনি যোগব্যায়ামকে জনপ্রিয় করেছেন। আমরা সবাই যোগাকে সমর্থন করি। কিন্তু, ওনার অন্য চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করা উচিত নয়। উনি একাধিক বিজ্ঞাপনে ডাক্তারদের খুনি বা এই জাতীয় কিছু হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন