কলকাতায় অনেক ক্ষেত্রেই ভুয়ো কোভিশিল্ড রমরমিয়ে চলছে। এমনটাই খবর রয়েছে তাদের কাছে। তবে কোন সূত্রে খবর মিলেছে, তা জানাতে চায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। জুলাই-আগস্ট জুড়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে তাদের কাছে খবর জমা পড়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হু'র এই তালিকায় যা রয়েছে, তা সত্যি। রোগীকে দেওয়া হয়েছে, এমন অনেক কোভিশিল্ডই আদৌ ভ্যাকসিন নয়। ২ এমএল যে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে, তা থেকে প্রমাণিত যে, সেগুলি জাল ভায়াল। সেরাম ২ এমএলের ভ্যাকসিন তৈরি করে না।
স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় পড়েছেন গ্রহীতারা। কীভাবে এই টিকা এসে পৌঁছছে তা জানতে চেয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ নজরদারি শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গোপন সূত্রের সামান্য আভাস মিললেও তদন্ত চালিয়ে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা অনেক সহজ হত। তাই হু ( WHO) -র কাছে কলকাতা পুলিশ অনুরোধ করবে।
সরকারি না বেসরকারি-কোন ক্ষেত্রে জাল ভ্যাকসিন মিলছে,তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল এন্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউনিয়নের নেতা সুমহান চক্রবর্তী জানান, তাঁরা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। এখন জানতে হবে কী করে এই কাজ চলছে। তদন্তেরও দাবি জানান।
অল ইন্ডিয়া কেমিস্ট এন্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ সরকার জানান, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে টিকা আসার পদ্ধতি কিছুটা আলাদা। কীভাবে আসছে তা সাধারণ মানুষ জানতে পারছেন না। বাস্তব সাধারণ মানুষের জানা দরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন