সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে টিকাকরণের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বৃহস্পতিবার ভোটের আগে অন্তর্বতী বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী জানান, ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকাকরণে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বাজেট পেশের সময় নির্মলা সীতারমন জানান, "সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকাকরণে উৎসাহিত করবে কেন্দ্র সরকার।" তবে কোন পদ্ধতিতে টিকাকরণ হবে, আর কোথা থেকে এই টিকা পাওয়া যাবে, সেবিষয়ে এখনও বিশদ কিছু জানা যায়নি।
কী এই সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার? জরায়ুর মুখের যে ক্যানসার হয় তাকে বলা হয় সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার। এক্ষেত্রে জরায়ুর আস্তরণে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।
এর বিরুদ্ধে ভারতে তৈরি প্রথম চতুর্যোজী টিকা হল, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস সার্ভাভ্যাক ভ্যাকসিন। সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া-কে ওই টিকা বাজারে ছাড়ার অনুমোদন দেয় ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। বুধবারই পুণে পৌরসভার তরফে স্কুলে গিয়ে মেয়েদের টিকাকরণের ঘোষণা করা হয়। তার পর সংসদে সার্বিক টিকাকরণের কথা বললেন নির্মলা।
WHO-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, স্তন, ফুসফুস এবং মলাশয়ের ক্যান্সারের পর, সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েই সবচেয়ে বেশি মহিলা রোগী মারা যান। তবে ভারতে এই ক্যান্সারের স্ক্রিনিং কম। ভারতের মহিলাদের মাত্র ১ শতাংশই এই স্ক্রিনিং করিয়েছেন।
WHO-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের বেশ কিছু রাজ্যে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার নিয়ে মোটামুটি সচেতনতা রয়েছে। তামিলনাড়ুতে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের পরীক্ষা করিয়েছেন এমন মহিলার হার ৭ শতাংশ। কেরল, মিজোরাম, মণিপুর এবং মহারাষ্ট্রে ১ শতাংশ মহিলা এই পরীক্ষা করিয়েছেন। যে কোনও ধরনের ক্যান্সারের পরীক্ষা করিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এমন মহিলার হার মাত্র ০.১ শতাংশ, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। গুজরাতে এই হার ০.২ শতাংশ। তবে কোনও রাজ্যেই এই হার দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন