পতঞ্জলির 'বিভ্রান্তিকর' বিজ্ঞাপন নিয়ে আরও চাপে সংস্থার কর্ণধার রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। এবার তাঁদের পুনরায় হাজিরার নির্দেশ দিল হরিদ্বার আদালত।
পতঞ্জলির ভুয়ো বিজ্ঞাপন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে মামলা চলছে। তার মধ্যেই জেলা আয়ুর্বেদিক এবং ইউনানি অফিসার পতঞ্জলি এবং দিব্যা ফার্মেসির বিরুদ্ধে মামলা করেন গত ১৬ এপ্রিল। সেই মামলার ভিত্তিতে গত ১০ মে রামদেব ও বালকৃষ্ণকে আদালতের হাজিরার নির্দেশ দেন হরিদ্বারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল কুমার শ্রীবাস্তব। কিন্তু তাঁরা হাজিরা এড়িয়ে যান। ফের তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ জুন।
মামলাকারীর অভিযোগ, টাইফয়েড, ত্বকের সমস্যা, জ্বর সহ একাধিক রোগের চিকিৎসায় সাধারণ মানুষ যে সমস্ত এলোপ্যাথি ওষুধ ব্যবহার করেন, সেগুলিকে বিষাক্ত বলে দাবি করেন রামদেব। কেন তিনি এমন মন্তব্য করে রোগীদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছেন তার জবাব দিতে হবে।
উল্লেখ্য, পতঞ্জলির বিরুদ্ধে মূল মামলা টার করোনিল কিট নিয়ে। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় করোনিল কিট বাজারে এনেছিল পতঞ্জলি। পতঞ্জলি সেই সময় প্রচার করেছিল এই কিট কোভিড মোকাবিলায় সহায়তা করে। ‘করোনিল’ এবং ‘শ্বাসারি বটি’ নামে দু’ধরনের খুব সাধারণ ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের ২০ মিলিলিটারের একটি তেলের শিশি নিয়ে তৈরি ওই কিটের দাম রাখা হয়েছিল ৫৪৫ টাকা। চাইলে আলাদা ভাবে ট্যাবলেট এবং তেল কেনা যাবে বলেও জানানো হয়েছিল।
আইএমএ–র অভিযোগ ছিল, কোভিডের সময় কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। গত বছরের নভেম্বরে মামলাটির শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। সুপ্রিম নির্দেশের পর সংবাদপত্রে ক্ষমাপ্রার্থনাও করেছে পতঞ্জলি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন