শীর্ষস্থানীয় এ আই স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস প্ল্যাটফর্ম HealthifyMe প্রায় ১৫০ জন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে। যা এই সংস্থার মোট কর্মশক্তির ৭ শতাংশ। ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে কোম্পানি "প্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি এবং নিয়োগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি"৷ বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই এবং সিঙ্গাপুরে এই সংস্থার শাখা রয়েছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "আমাদের টিমের ১৫০ জন সদস্যকে ছাঁটাই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে”। সংস্থা আরও জানিয়েছে, "প্রযুক্তির মতোই, সংস্থার বৃদ্ধি প্রত্যাশা এবং নিয়োগের সাথে তাল মিলিয়ে চলেনি।"
সংস্থাটি তাদের নন অপারেশান কোর টিমের ২৭২ জন কর্মচারীর মধ্যে ৬৩ জনকে ছাঁটাই করেছে। অপারেশনে, সংস্থার মোট ১,৭৫২ জনের মধ্যে ৭৯ জন কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে। সংস্থার মতে, মোট কর্মী বাহিনীর প্রায় ৭ শতাংশ কমানো হয়েছে।
এই সংস্থায় কর্মরতদের ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতি বছরের হিসেবে দু’সপ্তাহ করে দুই মাসের একটি স্পেশাল প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২০২৩-এর জুন পর্যন্ত ছাঁটাই কর্মীদের স্বাস্থ্যবীমা চালু থাকবে।
এই বছরের জুলাই মাসে হেলথটেক প্ল্যাটফর্ম লিপফ্রগ এবং খোসলা ভেঞ্চারসের নেতৃত্বে একটি সিরিজ সি রাউন্ডে $৭৫ মিলিয়ন (প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা) সংগ্রহ করেছে। কোম্পানির লক্ষ্য ছিল ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসা প্রসারিত করার জন্য এই অর্থ ব্যবহার করা। এছাড়াও উত্তর আমেরিকায় ব্যবসা বাড়ানোর পাশাপাশি ডিজিটাল স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ভিত্তি অর্জন করা।
HealthifyMe-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও তুষার বশিষ্ঠ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "আমরা ইতিমধ্যেই ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারের শীর্ষ স্থানাধিকারী এবং এআই এবং মানুষের সহানুভূতি একত্রিত করে, আমরা আজ সম্ভাব্য খরচের একটি অংশে ওজন এবং জীবনধারা রোগ ব্যবস্থাপনায় ভালো ফলাফল দিতে পারি।"
গত জুলাই মাসে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, যদিও HealthifyMe-এর মূল ভিত্তি ভারত, কিন্তু বর্তমানে তা আন্তর্জাতিকভাবে শাখা বিস্তার করেছে। এখন এই সংস্থার প্রায় ২৫ শতাংশ রাজস্ব মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশের বাইরে থেকে আসে। একইসঙ্গে এই বছর ১,০০০ জনেরও বেশি প্রশিক্ষক নিয়োগের কথা জানানো হয়েছিল।
সংস্থার মুখপাত্র সর্বশেষ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "আমরা বিপাকীয় স্বাস্থ্য (HealthifyMe 2.0) সম্পর্কে আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একটি বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যার জন্য বিভিন্ন সংস্থান প্রয়োজন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন