কোভিশিল্ড টিকা নেওয়া কোনও ভারতীয় ব্রিটেনে পা রাখলে তাঁকে আনভ্যাক্সিনেটেড বা টিকা না হওয়া ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হবে। বরিস জনসনের প্রশাসন এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউপিএ আমলের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী শশী থারুর ও জয়রাম রমেশ। এই পদক্ষেপকে ‘বর্ণবিদ্বেষে’র নয়া নজির বলে তোপ দেগেছেন তাঁরা।
উল্টোদিকে অনেক নরম মনোভাব পোষণ করেছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলে বিদেশিরা নভেম্বর থেকে আমেরিকায় ঢুকতে পারবেন। মূলত, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এই নির্দেশিকার আওতায় ভারতও আছে। যদিও স্পষ্টভাবে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে ওই তালিকায় ভারতের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বিশ্বকে লাল, হলুদ, সবুজ এই তিন তালিকাভুক্ত করেছিল ব্রিটেন। ভারত ছিল হলুদ তালিকায়। কিন্তু আগামী ৪ অক্টোবর থেকে এসব তালিকা বাতিল করে শুধু লাল সতর্কতা চালু করা হচ্ছে ব্রিটেনে। কিন্তু, বাধ সেঁধেছে কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি না দেওয়া নিয়ে। কোভিশিল্ড পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন করলেও আসলে সেটি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার।
ব্রিটেনের নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, ভারতীয়-সহ যেসব যাত্রী স্বীকৃতি পাওয়া টিকা নেননি এবং শংসাপত্র নেই, তাঁদের ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক ট্রাভেল বিধি অনুযায়ী ভ্রমণের আগে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। ব্রিটেনে পা দেওয়ার দু’দিন এবং আটদিন পর তাঁকে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। শুধু তাই নয়, ব্রিটেনে প্রবেশের পর ১০ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, ‘ব্রিটেনের তৈরি এবং পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ডকে এই তালিকায় বিবেচনা করা আজব ঘটনা। কেননা সিরাম ব্রিটেনকেও এই টিকা সরবরাহ করেছে। এটা বর্ণবিদ্বেষের একটা বড় নজির।’ একইভাবে জনসন সরকারের প্রতি সুর চড়িয়ে শশী থারুর লিখেছেন, টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া ভারতীয়দের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা অপমানজনক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন