গত পাঁচ বছরে ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে ভারতে। পাশাপাশি, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান অনুযায়ী শীর্ষ ২০ টি দেশের মধ্যে ভারতের নাম রয়েছে। রবিবার সেভ দ্য চিলড্রেন'স সিনিয়র হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এশিয়া প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩–এর জানুয়ারী থেকে নভেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। ২০২২ সালের অনুপাতে ডেঙ্গু আক্রান্তের হারে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে এবং ২০১৯–এর পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই হার ১৮ শতাংশ বেশি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমান বছরে ভারত সহ ২০ টি দেশে ডেঙ্গুতে প্রায় ৫৫০০ মানুষ মারা গেছে। যা ২০২২ এবং ২০২৩-এর অনুপাতে যথাক্রমে ৩২ শতাংশ এবং ১১ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমস্ত তথ্য ঠিকঠাক পাওয়া গেলে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা এবং আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
ভারতের পড়শি রাষ্ট্র বাংলাদেশে ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সবথেকে বেশি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষেরও বেশি। ২০২২ সালে যা ছিল ৬২ হাজার। ২০২৩–এ বাংলাদেশে ডেঙ্গুর ফলে মারা গেছেন ১,৫৯৮ জন। যার মধ্যে ১৬০ টিরও বেশি শিশু। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ১০ বছরের কম। ২০২২-এর অনুপাতে ২০২৩–এ মৃত্যের সংখ্যা বেড়েছে পাঁচগুণ।
এই প্রসঙ্গে সেভ দ্য চিলড্রেন'স সিনিয়র হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এশিয়ার অ্যাডভাইজার ইয়াসির আরাফাত এক বিবৃতিতে জানান, "এশিয়া জুড়ে, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সংক্রমণের হিসাবে ২০২৩ কে ডেঙ্গুর মৃত্যুর জন্য একটি বিধ্বংসী বছর বলা যায়।"
তিনি আরও জানান, "ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গ্রাম এবং শহরের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের সঠিক পরিকল্পনা করা দরকার। মশার জন্ম নিয়ন্ত্রণ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারী প্রচেষ্টা আরও বাড়ানো দরকার। এটা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ নয়।“
ডেঙ্গু জ্বর হল একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গুর ফলে উচ্চ জ্বর, চোখের পিছনে ব্যথা, তীব্র মাথাব্যথা এবং শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। সবচেয়ে গুরুতর ক্ষেত্রে এটি ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে পরিণত হতে পারে, যা মারাত্মক হতে পারে।
- With inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন