দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের উদাসীনতা এবং আলস্যকে দায়ী করল চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, কেন্দ্র তাদের কোনও পরামর্শই মানছে না। বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং গবেষকদের পরামর্শ স্রেফ ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাফ কথা, এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে একমাত্র সুপরিকল্পিত সার্বিক লকডাউন। নাইট কার্ফু বা বিক্ষিপ্ত লকডাউন উপযোগী নয়। রবিবার আইএমএ-র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, 'আমাদের তরফে অনেক আগেই দেশজুড়ে লকডাউন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতাল এবং অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্রগুলো যাতে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারে তার জন্য পূর্ব-ঘোষিত লকডাউন জরুরি ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে যে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উদাসীন মনোভাব এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আলস্য দেখে দেখে আমরা স্তম্ভিত।’
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, তাদের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও লকডাউন করেনি কেন্দ্র, আর আজ প্রতিদিন নতুন করে ৪ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। এর মধ্যে মাঝারি থেকে খারাপ অবস্থার রোগীর হার অন্তত ৪০ শতাংশ। আলাদা আলাদা করে বিক্ষিপ্ত লকডাউন বা নাইট কার্ফু কোনও কাজে লাগেনি। অর্থনীতি ঠিক রাখার থেকে মানুষের প্রাণ বাঁচানো জরুরি।
আইএমএর সাফ দাবি, কেন্দ্রের উচিত এখনই হাতে সময় নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে লকডাউন করা। দেশজুড়ে অক্সিজেন সংকটের পিছনেও কেন্দ্রের ব্যর্থতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছে চিকিৎসকদের সংগঠনটি। তাদের দাবি, দেশে অক্সিজেনের সংকট নেই। শুধু সঠিকভাবে তা বিতরণ করতে ব্যর্থ কেন্দ্র। যে কারণে এই সংকট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন