রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার পুনরুজ্জীবন সম্ভব! কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট

ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক-এর পক্ষে আইনজীবী কলিং গনজালভেস বলেন, দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থার পুনরুজ্জীবন প্রয়োজন। কেন্দ্রে উচিত তাদের ভ্যাকসিনের বরাদ দেওয়া।
রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার পুনরুজ্জীবন সম্ভব! কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল চিত্র
Published on

রাষ্ট্রায়ত্ত ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে পণ্য উৎপাদন সম্ভব কিনা, এই বিষয়ে কেন্দ্র কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, তা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে। দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির উৎপাদনের করুণ পরিস্থিতি নিয়ে এক মামলায় এমন নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

গত ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ব ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থার পুনরুজ্জীবনের নির্দেশ দেয়। প্রত্যেকটি সংস্থার উৎপাদন যাতে পুরোদমে চালু হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্র তাতে সম্মতি জানায়। কিন্তু গত পাঁচ বছরে অবস্থার কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করেছেন অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্কের পক্ষে অবসরপ্রাপ্ত আইএস অফিসার অমূল্য রত্ননন্দা।

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, জবাব চাইতে কেন্দ্রকে নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ বিষয়টি সরকারের নীতির প্রশ্ন। তারপর সরকার কী নীতি নিয়েছে, তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক-এর পক্ষে আইনজীবী কলিং গনজালভেস বলেন, ২০১০ সালে কেন্দ্রের জাভিদ চৌধুরীর রিপোর্ট জানিয়েছে, দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থার পুনরুজ্জীবন প্রয়োজন। তাদের স্বনির্ভর হওয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রে উচিত তাদের ভ্যাকসিনের বরাদ দেওয়া তাদের আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। কিন্তু এখনও কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপই করেনি তাই এবার ফের উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট।

রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার পুনরুজ্জীবন সম্ভব! কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট
Omicron: প্রথম মৃত্যু ব্রিটেনে, টিকার কার্যকারিতা নষ্ট করে দিচ্ছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট, দাবি হু-র

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in