Nobel Prize: করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে পথিকৃৎ! চিকিৎসা ক্ষেত্রে নোবেল পেলেন কারিকো ও ওয়েইজম্যান

People's Reporter: মানবদেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের গবেষণার উপর ভিত্তি করেই করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করা গিয়েছে।
ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইজম্যান
ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইজম্যানছবি সৌজন্য দ্য নোবেল প্রাইজ এক্স হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
Published on

মারণ ব্যাধি কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক তৈরির পিছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথা প্রধান ভূমিকা পালনের জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার পেলেন ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইজম্যান। সোমবার নোবেল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি পেশ করে জানিয়েছে, ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জয় ২০২৩ সালে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হচ্ছে ওই দুই বিজ্ঞানীর হাতে। মানবদেহের ইম্যুনিটি সিস্টেম বা রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের গবেষণার উপর ভিত্তি করেই করোনা ভাইরাসের দ্রুত ও নিখুঁত প্রতিষেধক তৈরি করা গিয়েছে।

২০২২ সালে মানুষের বিবর্তন নিয়ে গবেষণার জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী স্যান্তে প্যাবো। কিন্তু তখন বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন মহলের ধারণা ছিল, করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে গবেষণা করেছেন যারা, তাঁদেরই এই পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল। তবে নোবেল কর্তৃপক্ষ সেই সময় জানিয়েছিল, বিশেষ একটি বিষয়ে গবেষণার জন্য স্বীকৃতি পেতে অনেকদিন সময় লাগে। এবার সেই কর্তৃপক্ষই করোনার প্রতিষেধক তৈরির পিছনে অনস্বীকার্য অবদানের জন্য ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইজম্যান-এর হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দিল।

জন্মসূত্রে হাঙ্গেরির বাসিন্দা ক্যাটালিন হাঙ্গেরিতেই নিজের যাবতীয় পড়াশোনা শেষ করেন। তারপর তিনি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণার কাজ শুরু করেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি হাঙ্গেরির সিজড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও আমেরিকার পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিন-এর সহকারি অধ্যাপক পদে রয়েছেন ক্যাটালিন কারিকো। ওই পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনেরই ভ্যাকসিন গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক পদে রয়েছে ওয়েইজম্যান। প্রসঙ্গত, আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

মানবদেহের ইম্যুনিটি সিস্টেমে বা রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থায় mRNA-এর গুরুত্ব নিয়ে গবেষণা করেছেন কারিকো এবং ওয়েইজম্যান। তাঁদের গবেষণায় মানুষের দেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা সংক্রান্ত অনেক নতুন নতুন তথ্য জানা যায়। ২০২০ সালে যখন গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের প্রকোপে জেরবার, তখন এই দুই বিজ্ঞানীর গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই আমেরিকার ফাইজার ও মর্ডানা সংস্থা দুটি অতি দ্রুত কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক তৈরিতে সক্ষম হয়। এবার সেই প্রতিষেধক তৈরির পিছনে অবদানের জন্যই নোবেল পুরস্কার পেতে চলেছেন ক্যাটালিন ও ওয়েইজম্যান। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের স্টকহোমে সে দেশের রাজা নিজে হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন।

ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইজম্যান
‘২০৮০ সালের মধ্যে ভারতের ভূগর্ভস্থ জল হ্রাসের হার হবে ৩ গুন’ - আশঙ্কা মার্কিন গবেষকদের
ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইজম্যান
‘৬২তে INCOSPAR গঠনের পরেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা শুরু! চাঁদের মাটি ছোঁয়ার দিনই অতীত মনে করালো কংগ্রেস

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in