মাঙ্কিপক্স নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে মাঙ্কিপক্সের সুনিশ্চিত নির্দেশিকার অভাবেই বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসার ওপর সমীক্ষা চালায় একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা দল। তাতে দেখা যায় গোটা বিশ্বে এই ভাইরাসের চিকিৎসা পদ্ধতিতে বেশ গাফিলতি রয়েছে। UK-র অক্সফোর্ড, অসট্রেলিয়ার ব্রিস্টল এবং লিভারপুল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকরা বলেন, মাঙ্কিপক্স সংক্রান্ত যেসব নির্দেশিকা দেওয়ায় হচ্ছে তাতে বিশদ বিবরণ নেই। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যেও সঠিক বিধি প্রচার করা হচ্ছে না। এছাড়াও তাঁরা বলেন, নির্দেশিকার মধ্যে স্পষ্টতার অভাব রয়েছে। যা রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে।
গবেষণায় এও বলা হয়, সঠিক নির্দেশিকার অভাবে রোগী ও রোগীর পরিবার ভুল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর শিকার হতে পারেন। যেসব ক্লিনিং-র এই ভাইরাস সম্পর্কে ধারণা কম তারা নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
গবেষণা দলটি ১৪ রকমের নির্দেশিকার সন্ধান পেয়ছে। তার মধ্যে বেশিরভাগটাই নিম্নমানের ছিল এবং অল্প তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে। এই নির্দেশিকাতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে কিছু ঝুঁকির উল্লেখ আছে। এর মধ্যে ৫ টি নির্দেশিকা শিশুদের জন্য দেওয়া হয়। ৩ টি নির্দেশিকা দেওয়া হয় গর্ভবতী মহিলা অথবা HIV আক্রান্তদের জন্য।
উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্সের সাতটি নির্দেশিকায় সিডোফোবির ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। চারটি নির্দেশিকায় টেকোভিরিমিট ও একটি নির্দেশিকায় ব্রিনসিডোফোভির ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে সিডোফোভিরের পরিবর্তে টেকোভিরিম্যাট ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও সিডোফোভির এবং ব্রিন্সিডোফোভির মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে সক্রিয়। তবে মানবদেহে এর প্রভাব কেমন হবে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। এগুলো শুধুমাত্র কিছু দেশে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
ঐ ১৪ টি নির্দেশিকা পোস্ট এক্সপোজার প্রফিল্যাক্সিস হিসেবে টীকাকরণের অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু সবগুলি নতুন প্রজন্মের জন্য ছিল না। গবেষকরা দাবি করেন যত গবেষণা অগ্রসর হচ্ছে মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে নতুন তথ্য সামনে আসছে। সেই সব নতুন নতুন তথ্য নিয়ে গবেষণা করে পরবর্তীকালে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন