“ঋতুস্রাব এবং ঋতুচক্র কোনও প্রতিবন্ধকতা নয়, এটি মহিলাদের জীবনযাত্রার একটি স্বাভাবিক অংশ।“ বুধবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় নারী ও কল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝায়ের মেয়েদের ঋতুচক্র চলাকালীন সবেতন ছুটি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
পাশাপাশি এদিন স্মৃতি ইরানি আরও বলেন, “আমাদের এমন বিষয়গুলি প্রস্তাব করা উচিত নয় যেখানে মহিলাদের সমানাধিকারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। যাদের ঋতুস্রাব হয় না, মাসিকের প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে নেই।’’
এদিন অধীবেশনে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব স্বীকার করে মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কর্তৃক একটি খসড়া জাতীয় নীতি প্রণয়নের ঘোষণা করেন। স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতায় তৈরি করা এই নীতির লক্ষ্য হল, দেশবাসীকে এই বিষয় নিয়ে আরও বেশি সজাগ করা, ঋতুস্রাবের সময় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সতর্ক করা।
এদিন অধিবেশনে 'প্রমোশন অফ মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্ট' স্কিমের কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী। এই স্কিমের লক্ষ্য ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীরা। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন দ্বারা সমর্থিত এই স্কিমটি বিভিন্ন শিক্ষা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে মাসিকের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে।
সোমবার সংসদে একটি রিপোর্ট জমা পড়ে। যাতে বলা হয়েছে, বিশেষ মাসিককালীন ছুটির বিষয়টি একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে বিবেচিত হয় এবং পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আওতায় পড়ে। তারপরই এই সংক্রান্ত সওয়াল-জবাব শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলা ছাত্রীদের জন্য ঋতুস্রাবকালীন ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন