কোভিশিল্ডের একটি ডোজের পর কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজ নিলে তাতে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না বরং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয়। রবিবার প্রকাশিত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর একটি গবেষণায় এই দাবি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলার অদাই কালান গ্রামের ১৮ জনকে প্রথমে সিরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছিল। এর ছয় সপ্তাহ পর অসাবধানতাবশত ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন দেওয়া হয় তাঁদের। সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এই ঘটনার পরে দুই পৃথক সংস্থার টিকা ব্যবহারে শরীরে কী প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তা পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেইমতো পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলোজি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। আজ সেই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আইহিএমআর।
গবেষণায় বলা হয়েছে, একটি এডিনোভাইরাস ভেক্টর ভিত্তিক ভ্যাকসিন এবং তার পর নিষ্ক্রিয় ভাইরাস থেকে তৈরি ভ্যাকসিন - শরীরে এই দুই মিশ্র প্রতিষেধকের ব্যবহার কেবল নিরাপদই নয় বরং আরো ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিট এবং অ্যাস্ট্রাজেনকার তৈরি কোভিশিল্ড একটি ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাকসিন যা শিম্পাঞ্জির শরীরে পাওয়া এডিনো ভাইরাস থেকে তৈরি করা হয়েছে। অপরদিকে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন মৃত করোনা ভাইরাস থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
যদিও গত মাসেই মিশ্র করোনা প্রতিষেধকের ব্যবহার নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি একে ভয়ানক প্রবণতা বলে উল্লেখ করেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন