দেশের অন্যতম শীর্ষ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল - ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে’ (AIIMS)-এর নাম বদল করার প্রস্তাব দিয়েছে মোদী সরকার। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি দিয়েছে এইমস (AIIMS)-এর ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, নাম বদল করলে পরিচিতি হারাতে পারে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান।
অ্যাসেসিয়েশনের তরফে চিঠিতে জানানো হয়েছে, AIIMS-র পরিচয় তার নামের সাথেও যুক্ত। এই পরিচয় হারিয়ে গেলে দেশের ভিতরে এবং বাইরে এইমসের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিও হারিয়ে যাবে। অ্যাসেসিয়েশনের যুক্তি, ঠিক এই কারণেই অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ এবং হার্ভার্ডের মতো শতাব্দীপ্রাচীন এবং মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি একই নামে রয়েছে। কখনও তারা নাম বদলের কথা ভাবেনি।
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ২৩টি এইমসের নাম পরিবর্তন নিয়ে শিক্ষকদের মতামত জানতে চেয়েছিল কেন্দ্র। তাতে, নাম বদলের বিপক্ষে মত দিয়েছে AIIMS-র ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন (FAIMS)-এর সদস্যেরা।
সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে পাঠানো চিঠিতে FAIMS জানিয়েছে, ‘ডাক্তারি শিক্ষা, গবেষণা এবং সেবা - এই তিন লক্ষ্যে ১৯৫৬ সালে তৈরি হয় দিল্লি এইমস। এই নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস এবং পরিচিতি। তাই নাম বদল করলে দেশের বাইরে এবং ভিতরে এই প্রতিষ্ঠান তার পরিচিতি হারাবে। তাই দয়া করে AIIMS-র দিল্লির নাম পরিবর্তন করার জন্য কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করবেন না, এই অনুরোধ করছি আমরা।’
জানা গেছে, এইমস হাসপাতালগুলির নাম পরিবর্তন করে স্থানীয় বীর, মুক্তিযোদ্ধা, ঐতিহাসিক ঘটনা বা এই অঞ্চলের স্মৃতিস্তম্ভের নামে করার প্রস্তাব করেছে কেন্দ্র। আর সেক্ষেত্রে, আরএসএস (RSS)-র প্রতিষ্ঠাতা সাভারকার কিংবা গান্ধিজীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে প্রমুখদের নামেও এইমসের নাম রাখার আশঙ্কা করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।
কেননা, বিজেপির একাধিক নেতৃত্বের গলায় মাঝেমাঝেই সাভারকার বা নাথুরাম গডসের প্রসংশা শোনা গেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও একাধিকবার সভারকারের প্রসংশা করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন