বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হতে না হতেই আরও এক অজানা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেল। এবারও বাহকের ভূমিকায় মানবদেহ। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দপ্তরের মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের হদিশ মেলে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নাম ‘মাঙ্কি পক্স’ হলেও একাধিক বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। এটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।
ভাইরাসটি সংক্রামক। প্রধানত নাক, চোখ, মুখ, শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান ইত্যাদির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে অপর ব্যক্তির দেহে। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে বা আক্রান্তের পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করলে তার মারফতও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
লক্ষণঃ- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র মতে, এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হল দুর্বলতা, জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠ এবং গায়ে যন্ত্রণা। সাথে কাঁপুনি ও ক্লান্তিও থাকতে পারে। এরপর দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠার সাথে সাথে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে সেই ক্ষত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
চিকিৎসাঃ- WHO- এর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই বিরল রোগের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি তাঁদের জানা নেই। জলবসন্ত বা গুটিবসন্তের জন্য টিকা আবিষ্কার হলেও এই ভাইরাসটি এতোই বিরল যে এর জন্য কোনও টিকা পদ্ধতি তৈরী হয়নি।
উল্লেখ্য, এই ভাইরাসটি মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে দেখা যায়। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীদের দেহে বড় বড় ফোসকার মত অংশ দেখা যায়। হাতের তালু,পায়ের পাতা সহ দেহের অন্যান্য অংশে ভরে যায় ফোসকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন