কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-আতঙ্কের মাঝেই করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে সরানো হল মোদীর ছবি

People's Reporter: কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে নরেন্দ্র মোদীর ছবি এই প্রথমবার সরানো হয়নি।
কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-আতঙ্কের মাঝেই করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে সরানো হল মোদীর ছবি
গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে সরানো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। কেন্দ্রের তরফ থেকে নির্বাচনের কারণে ছবি সরানোর যুক্তি দেখানো হলেও বিরোধীরা তা মানতে নারাজ। বিরোধীদের অভিযোগ, কোভিশিল্ড-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই ছবি সরানো হয়েছে। একই দাবি নেটিজেনদের একাংশেরও।

ভারতে যাঁরাই করোনা টিকা নিয়েছেন তাঁদের একটি করে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল। যেখানে ছবি ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শংসাপত্রে মোদীর ছবি থাকা নিয়ে সেইসময় তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু এতদিন সেই ছবি ছিল। কোভিশিল্ড-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই দেখা যাচ্ছে ওয়েবসাইটে থাকা টিকা শংসাপত্র থেকে মোদীর ছবি উধাও। যদিও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি জারি রয়েছে। সেই কারণে করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর কোনো কারণ নেই।

কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে নরেন্দ্র মোদীর ছবি এই প্রথমবার সরানো হয়নি। এর আগে ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও কমিশনের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ওই শংসাপত্র থেকে মুছে দেওয়া হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখা নিয়ে ২০২১ সালে কেরালা হাইকোর্টে এক মামলাও দায়ের হয়েছিল। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, তিনি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নির্ধারিত মূল্য দিয়ে টিকা নিয়েছেন। তাহলে তাঁর শংসাপত্রে কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকবে? তিনি একাধিক দেশের শংসাপত্রের ছবি তুলে ধরে বলেন সেই সমস্ত দেশের রাষ্ট্রনায়কদের তো ছবি দেওয়া নেই। তাহলে ভারতে কেন হবে? জবাবে বিচারপতি জানিয়েছিলেন তাঁরা হয়তো তাঁদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গর্ববোধ করেন না কিন্তু আমরা আমদের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে গর্বিত।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ৫১টি মামলা দায়ের হয়েছে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টে। কোভিশিল্ড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে এই মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল। অ্যাস্ট্রাজেনেকাও আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা উৎপাদন করেছিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে অন্যতম হল টিটিএস বা ‘থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’। টিটিএস-র ফলে কমে যেতে পারে রক্তে প্লেটলেটসের মাত্রা। শরীরে জমাট বাঁধতে পারে রক্ত। যার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর উত্তাল গোটা বিশ্ব। কারণ ভারত সহ তৃতীয় বিশ্বের সমস্ত দেশে কোভিড প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কোভিশিল্ড টিকা। এই আতঙ্কের মাঝেই টিকা শংসাপত্র থেকে সরানো হল মোদীর ছবি।

কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-আতঙ্কের মাঝেই করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে সরানো হল মোদীর ছবি
Measles: বিশ্বজুড়ে বাড়ছে হামের প্রকোপ, শেষ ১ বছরে বৃদ্ধি ৮৮ শতাংশ
কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-আতঙ্কের মাঝেই করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে সরানো হল মোদীর ছবি
WB Heatwave: তীব্র দবদাহে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের সমস্যা, কীভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে?

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in