নিট পরীক্ষায় গ্রেস পাওয়া ১৫৬৩ জনকে পুনরায় পরীক্ষায় বসার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। তাঁদের সকলের গ্রেস দেওয়া নম্বর বাতিল করা হয়েছে বলেইসুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)।
নিট পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবক সকলেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সরব হয়েছেন চিকিৎসক মহলের একাংশও। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র বিবৃতি দিয়ে জানায়, তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ১৫৬৩ জন গ্রেস পাওয়া পরীক্ষার্থীকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। তাঁদের প্রাপ্ত সমস্ত গ্রেস মার্কস বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পরীক্ষার পেপার দেরী করে দেওয়ার কারণে কিছু পরীক্ষার্থীদের গ্রেস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল এনটিএ।
কেন্দ্র আরও জানায়, গত ১০, ১১ এবং ১২ জুন পর পর তিন দিন কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২৩ জুন পুনরায় পরীক্ষায় বসবেন ওই পরীক্ষার্থীরা। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩০ জুন। এমবিবিএস, বিডিএস এবং অন্যান্য কোর্সে ভর্তি হওয়ার কাউন্সেলিং শুরু হবে আগামী ৬ জুলাই থেকে।
মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে ওঠায় কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানায়, নিট (স্নাতক)-২০২৪ বাতিলের আবেদন জানানো সমস্ত মামলার শুনানি ৪ জুলাই হবে। আর কাউন্সেলিং-এও কোনো বাধা থাকবে না। নির্ধারিত সময় অনুযায়ীই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চলবে। যদি পরীক্ষা চলতে থাকে তাহলে কাউন্সেলিংও চলবে। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন নিটের ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বরই অর্জন করেছে। আবার এমন অনেক পরীক্ষার্থী রয়েছে যারা ৭১৭, ৭১৮ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু নেগেটিভ মার্কিং দিলে ৭১৭ বা ৭১৮ নম্বর কোনোভাবেই একজন পরীক্ষার্থী পেতে পারে না। এনটিএ জানিয়েছিল ওই প্রার্থীদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে। তারপরই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন