চীনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু বাড়ছে। এই খবরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ভারতেও। যার জেরে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপের রূপরেখা দিয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া করোনা অতিমারী পরিস্থিতিকে সামনে রেখে শীর্ষস্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে একটি বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, পর্যালোচনা সভায় প্রাথমিকভাবে ছয়টি মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় বিমানবন্দরে 'ইনকামিং কেস' বন্ধ করার কৌশল, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য নির্দেশিকা নির্ধারণ এবং করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ।
সূত্র মারফত আরও জানা গেছে, বিদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসা বিভিন্ন যাত্রীদের ঠিকমতো শারীরিক পরীক্ষা করা, বর্তমানে সারা দেশে কোভিডের নতুন স্ট্রেইনের প্রভাব কতটা, সেই নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও আসন্ন নববর্ষ উদযাপনের জন্য কী কী কোভিড প্রোটোকল চালু করা হবে সেই নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির INSACOG জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাবে প্রতিদিন কোভিড পজিটিভ নমুনাগুলি পরীক্ষা করার জন্য পাঠাতে হবে। INSACOG (Indian SARS-CoV-2 Genomics Consortium) হল ভারতে কোভিডের বিভিন্ন স্ট্রেইন অধ্যয়ন ও নিরীক্ষণ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে থাকা একটি ফোরাম।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বিভিন্ন রাজ্যকে একটি চিঠির মাধ্যমে জানান, "জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, ব্রাজিল এবং চীনে আকস্মিকভাবে কোভিড পজিটিভ কেসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে বিকল্প রাস্তা হিসেবে কোভিড পজিটিভ নমুনা নিয়ে ভাইরাসের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং তৈরি করা অপরিহার্য। এর ফলে দেশে কোভিডের নতুন রূপগুলিকে সময়মত সনাক্তকরণ করা যাবে। সেই অনুযায়ী কোভিড মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।"
প্রসঙ্গত, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২৯টি নতুন কোভিড পজিটিভ কেস পাওয়া গেছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। বর্তমানে সারা দেশে পজিটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৪০৮।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন