কেরালায় যে সমস্ত সরকারি কর্মচারী, শিক্ষকরা এখনও ভ্যাকসিন নেননি এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে তাঁদের নিজেদের খরচায় RTPCR টেস্ট করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সম্পর্কে সতর্কতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে কোভিড প্রোটোকলগুলিকে আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, যারা এখনও ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তাঁরা আর বিনামূল্যে কোভিড চিকিৎসার সুযোগ পাবেন না।
এই বৈঠক থেকেই সিনেমা হলে দর্শকদের বসার আগের নিয়মই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে সিনেমা হলে বর্তমান ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক।
কেরালার সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, রাজ্যে ১৮ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছে এবং ৬৩ শতাংশ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছে।
রাজ্যের প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মানুষ দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা নেননি। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তাঁরা তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করবেন।
এদিন বৈঠকের পরে একটি বিবৃতিতে বিজয়ন জানান, যারা ভ্যাকসিন নেননি তাঁরা সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে কোভিড চিকিত্সা পাবেন না।
"যদি অ্যালার্জি এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে কেউ ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাঁদের কোনো সরকারী চিকিৎসকের কাছ থেকে নেওয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা এই ধরনের মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আসবেন না, তাঁদের প্রতি সপ্তাহে একটি RT-PCR পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে” বলেও বিজয়ন জানিয়েছেন।
বৈঠকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার গতি বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরালা সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সরকারি আধিকারিকদের দেখতে বলেছেন যে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যককে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া উচিত। স্থানীয় সংস্থা এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টির তত্ত্বাবধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কেরালা ইউনিট সতর্ক করেছে যে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টটিকে সম্ভাব্য তৃতীয় তরঙ্গ হিসাবে দেখা উচিত এবং প্রত্যেকের এর থেকে সতর্ক থাকা উচিত। সকলের নিশ্চিত ভাবে স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্বের সমস্ত স্বীকৃত নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন