গত ২৪ ঘন্টায় উচ্চ সংক্রমণযোগ্য কোভিড বৈকল্পিক ওমিক্রনের ১৮০ টি নতুন কেস শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারতের ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে ৯৬১ তে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৩২০ জনকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে ওমিক্রন সংক্রমণের সর্বাধিক ঘটনা ঘটেছে। মোট ২৬৩। এরপরেই আছে মহারাষ্ট্র। এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ ২৫২। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে ওমিক্রন সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত ২২ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে (ইউটি) ছড়িয়ে পড়েছে।
দিল্লিতে মোট ২৬৩ টি ওমিক্রন কেস শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫৭ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গেছেন এবং ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৯৭ টি ওমিক্রন সংক্রমণ সহ গুজরাট ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ রাজ্য।
অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে, রাজস্থানে এখনও পর্যন্ত ৬৯ টি ওমিক্রন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে এবং কেরালায় মোট ৬৫ টি সংক্রমণের ঘটনা জানা গেছে। তেলেঙ্গানায় এখনও পর্যন্ত ৬২ জন ওমিক্রনের সংক্রমিত হয়েছেন এবং তামিলনাড়ুতে সংক্রমণের সংখ্যা ৪৫। কর্ণাটকে ৩৪ টি সংক্রমণ ঘটেছে।
ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যায় মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশায় ৯টি করে। উত্তরাখন্ডে ৪টি, চণ্ডীগড় এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ৩টি, উত্তরপ্রদেশে ২টি সংক্রমণ হয়েছে; গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ, মণিপুর এবং পাঞ্জাবে ১টি করে সংক্রমণ হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।
সংক্রমণের হার ১.২৯ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ায় দিল্লিতেও দৈনিক কোভিড সংক্রমণেও বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। বুধবার দিল্লিতে ৯২৩ টি নতুন কোভিড কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। যা গত ৩০ মে-র পরে সর্বোচ্চ এক দিনের বৃদ্ধি। সেইসময় বৃদ্ধির সংখ্যা ছিলো ৯৪৬। নতুন সংক্রমিতের খোঁজ পাবার পরে শহরে সংক্রমণের সংখ্যা ১৪,৪৫,১০২-এ পৌঁছেছে।
দিল্লির সক্রিয় কোভিড কেসও ২,২৯১-এ উঠেছে, যা গত ছয় মাসে সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, দিল্লিতে ১৯ জুন সর্বোচ্চ (২,৩৭২) সক্রিয় কোভিড কেস রেকর্ড করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন